ইউক্রেনযুদ্ধে রাশিয়া প্রথমবারের মতো মিত্রদেশ উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ব্যবহার করা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
গতকাল শনিবার জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চল দখলে রাখতে লড়াইরত ইউক্রেনীয় সেনাদের ওপর হামলায় রুশ বাহিনীর সঙ্গে প্রথমবারের মতো উত্তর কোরিয়ার সেনারা অংশ নিয়েছেন।
জেলেনস্কি তাঁর যুদ্ধকালীন নিয়মিত ভাষণে বলেন, ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর হামলায় রুশ বাহিনীর সঙ্গে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক উত্তর কোরীয় সেনা অংশ নিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যে জেনেছেন তাঁরা।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট আরও জানান, উত্তর কোরীয় সেনারা রুশ বাহিনীর সম্মিলিত ইউনিটের সঙ্গে কাজ করছেন এবং এ মুহূর্তে শুধু কুরস্কের যুদ্ধক্ষেত্রে অংশ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, তাতে এ ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে উত্তর কোরীয় সেনাদের অন্যান্য যুদ্ধক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হতে পারে।’
ইউক্রেনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনারা অংশ নিলেও এ পর্যন্ত ইউক্রেনের ভূখণ্ডে তাঁরা প্রবেশ করেননি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, এ যুদ্ধে উত্তর কোরীয় সেনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে। এ অবস্থায় কিয়েভের প্রতি পশ্চিমা মিত্রদেশগুলোর নতুন করে জোরাল সমর্থন কামনা করেন তিনি। বলেন, এ নিয়ে আগামী সপ্তাহে তিনি ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রুশ বাহিনীর সঙ্গে উত্তর কোরীয় সেনাদের অংশগ্রহণ করার এ খবর স্বীকার বা অস্বীকার, কোনোটিই করেনি রাশিয়া।
ইতিমধ্যে ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ বলেছেন, কুরস্ক অঞ্চলে রাশিয়া উল্লেখযোগ্যভাবে হামলা বাড়িয়েছে। সেখানে বিমান হামলার পাশাপাশি গ্লাইড বোমার ব্যবহার ও দুই শতাধিক গোলন্দাজ আক্রমণ চালিয়েছে তারা।
ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা কাউন্সিলের কর্মকর্তা আন্দ্রি কোভালেঙ্কো দাবি করেছেন, যুদ্ধে উত্তর কোরীয় সেনাদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির সুনির্দিষ্ট কোনো হিসাব দেননি তিনি।
দ্য গার্ডিয়ান