যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই বৈদেশিক সাহায্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়ার ফলে বিশ্বের কিছু দরিদ্রতম দেশে এইচআইভি এবং ম্যালেরিয়া সহ রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পণ্যের সরবরাহ শৃঙ্খল ভেঙে পড়েছে। এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) সাধারণত এইচআইভি, ম্যালেরিয়া এবং প্রজনন স্বাস্থ্যসহ তাদের বৃহত্তম স্বাস্থ্য সরবরাহ চুক্তির অংশ হিসাবে ওষুধ, ডায়াগনস্টিক পরীক্ষা এবং বিছানার জালের মতো সরঞ্জামের মতো পণ্যের জন্য বার্ষিক প্রায় ৬০০ মিলিয়ন অর্ডার দেয়।
তবে চলমান সহায়তা স্থগিতের ফলে আগাম পরিকল্পিত অর্ডারও আটকে গেছে, যা সরবরাহ, ব্যয় এবং সময়সীমার ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাবোট, সুইজারল্যান্ডের রোচে, ভারতের সিপলা, হেটেরো, অরবিন্দসহ একাধিক সংস্থা এই স্থগিতাদেশের কারণে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে।
আফ্রিকান ইউনিয়নের লিয়াজোঁ ম্যানেজার ফিৎসুম লাকেও আলেমায়েহু বলেছেন, ‘আফ্রিকায় লাখো মানুষ এই চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। ফলে এই সংকটের প্রভাব ভয়াবহ পড়তে পারে।’
যদিও ট্রাম্প প্রশাসন ৯০ দিনের পর্যালোচনা শেষে সহায়তা পুনরায় চালুর ইঙ্গিত দিয়েছে। তবু এই ব্যবস্থার জট খুলতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।