ইউএনওদের আইন মেনে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের নির্দেশ সিইসির

0
18
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

আইনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এবং আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেন, কোনো ধরনের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে নিজস্ব বিবেচনায় আইন অনুযায়ী সিদ্ধান্তে অটল থাকতে হবে।

বুধবার (২২ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ইউএনওদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান সিইসি।

তিনি বলেন, আমরা আইনের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল নই। অথচ, যে জাতি যতটা আইন মানে, সে জাতি ততটাই সভ্য। আমাদেরকে এই কালচার তৈরি করতে হবে। আমরা চাই ‘রুল অব ল’ কোনো ব্যক্তির দ্বারা নয়, আইন দ্বারা শাসন। নির্বাচনকালীন যে কাজই আসুক, তা ন্যায়সংগত, আইনসম্মত, নিরপেক্ষ ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে।

উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, নির্বাচনের সময় সমন্বয় একটি বড় বিষয়। যেহেতু আপনারা উপজেলা পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করবেন, তাই এই সমন্বয়ের দায়িত্ব মূলত আপনাদের কাঁধে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে হবে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে।

চাপমুক্ত থেকে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে সিইসি দৃঢ় অবস্থান তুলে ধরে বলেন, আপনারা কোনো চাপ বা প্রেশারের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। আইন অনুযায়ী নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন। নির্বাচন কমিশনও কোনো অন্যায় চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না, এবং কর্মকর্তাদের কখনোই কোনো বেআইনি আদেশ দেবে না। কমিশনের সব নির্দেশনাই প্রচলিত আইনের আওতায় থাকবে।

তিনি আরও বলেন, কোনো সংকট দেখা দিলে তা শুরুতেই মোকাবিলা করতে হবে। যেকোনো ক্রাইসিস হলে শুরুতেই সেটিকে চিহ্নিত করে সমাধানের চেষ্টা করুন। ঘটনার পরে নয়, বরং যথাসময়ে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ট্রেনিং শুধু এই সময়ের জন্য নয়, এটি পুরো ক্যারিয়ারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শেখার কোনো শেষ নেই। এই প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করতে হবে এবং এখান থেকে অর্জিত জ্ঞান অন্যদের মাঝেও ছড়িয়ে দিতে হবে।

তিনি আরও জানান, আরপিও (নির্বাচনী আইন) সংশোধনের পর ম্যানুয়াল আপডেট হলে প্রয়োজনীয় সংযোজন করা হবে। প্রশিক্ষণে কোনো গ্যাপ বা গুরুত্বপূর্ণ টপিক বাদ পড়লে, অনলাইনের মাধ্যমে সেই ঘাটতি পূরণ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন সিইসি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.