আলু রপ্তানিতে উৎসাহ দিচ্ছে সরকার, লক্ষ্য রাশিয়া-ভিয়েতনামের বাজার

0
97
আলু রপ্তানিতে উৎসাহ

কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেছেন, তিস্তার চরের মিষ্টি কুমড়াসহ বাংলাদেশ থেকে এখন পেয়ারা রপ্তানি হচ্ছে। কৃষকরা যাতে আলুর ন্যায্যমূল্য পান, সেজন্য রাশিয়া ও ভিয়েতনামে আলুর বাজার ধরতে সরকার কাজ করছে। এতে কৃষকরা ভালো দাম পাবেন। চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ টন আলু রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। রোববার সকালে রংপুরের পীরগাছায় উত্তম চাষাবাদ পদ্ধতিতে আলু রপ্তানি কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং সারা বাংলা কৃষক সোসাইটির উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সহযোগিতা করে বিরাহিম আইএপিপি কৃষক সমবায় সমিতি লিমিটেড।

ওয়াহিদা আক্তার বলেন, কৃষিপণ্যে রপ্তানি বাড়ানো সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। আলু রপ্তানিতে সরকার উৎসাহ দিয়ে আসছে। তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের উন্নয়নসহ দেশের স্বার্থে রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এফএওর প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (নীতি পরিকল্পনা ও সমন্বয়) রুহুল আমিন তালুকদার, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আফতাব হোসেন, এগ্রোনমি এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালমা রহমান, বাংলাদেশ আলু রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিইএ) সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন এবং বিরাহিম আলু উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির আলুচাষি সালমা আক্তার আদুরী।

দেশের প্রধান আলু উৎপাদনকারী অঞ্চল রংপুরে চতুর্থ বার্ষিক আলু রপ্তানির উদ্বোধনী আয়োজনে চারটি উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি অংশগ্রহণ করে। এ সময় কৃষি বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, পীরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবার রহমান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হক সুমনসহ রপ্তানিকারক সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তার পীরগাছার কল্যাণী ইউনিয়নের স্বচাষ এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে অহিমায়িত মডেল ঘরে আলু সংরক্ষণ কার্যক্রম পরিদর্শন করে নতুন আলু সংরক্ষণ পদ্ধতি নিয়ে কৃষকদের আশার কথা শোনান। এ সময় তিনি আলু সংরক্ষণের পদ্ধতি সম্পর্কে চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি রপ্তানির সুযোগ কাজে লাগাতে উন্নত জাতের আলু চাষে পরামর্শ দেন।

তিনি বলেন, রংপুর অঞ্চলে চাহিদার তুলনায় আলুর উৎপাদন অনেক বেশি। সংরক্ষণের জায়গা নেই, আবার কেউ চাইলেও সহজে হিমাগারে আলু রাখতে পারছেন না। কারণ হিমাগারেরও সীমাবদ্ধতা আছে। এ পরিস্থিতিতে আলু সংরক্ষণে অহিমায়িত মডেল ঘর একটি উত্তম ব্যবস্থাপনা বলে জানান তিনি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.