আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির মিটিংয়ে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গিয়ে বিমানবন্দরে হেনস্তার শিকার হন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জেনেভায় অবস্থিত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের কাছে ব্যাখ্যা চায়। সেই জবাব দিয়েছে স্থায়ী মিশন।
সোমবার (১১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, রাষ্ট্রীয় সফরে থাকা উপদেষ্টাকে দূতাবাসের পক্ষ থেকে কেন সহয়তা করা হয়নি। হেনস্তাকারীদের কাছে উপদেষ্টার উপস্থিতর তথ্য আগে দিয়েছে দূতাবাস, এমনও অভিযোগ ওঠে। মন্ত্রণালয় থেকে জেনেভার মিশনের কাছে সবকিছুর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল, তারা জবাবও দিয়েছে। তাদের জবাব পর্যালোচনা করছে মন্ত্রণালয়।
সূত্রটি আরও জানায়, জেনেভার মিশনের রাষ্ট্রদূতকে ফেরত আনা হবে কি না, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দূতাবাসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগের বিষয়টি খুব গুরত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ঘটনার সময়কার ভিডিওতে দূতাবাসের কর্মকর্তাকে দেখা গেলেও তিনি কেন শক্ত ভূমিকা রাখেননি সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর আইএলও’র গভর্নিং বডির মিটিং যোগ দিয়ে দেশে ফিরছিলেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। উপদেষ্টা গাড়ি থেকে বিমানবন্দরে নামার পর কয়েকজন লোক এসে তাকে ঘিরে ধরেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সুইজারল্যান্ড শাখার সভাপতি নজরুল ইসলাম জমাদার ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল খান ছিলেন। জেনেভা বিমানবন্দরে প্রবেশের আগ পর্যন্ত উপদেষ্টাকে বিরক্ত ও হেনস্তা করেন তারা। তখন তারা জয়বাংলা, জয়বন্ধু স্লোগানও দেন।