আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সময় পাওয়া গেলে সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। পরে নির্বাচিত নতুন সরকার এসে তা বাস্তবায়ন করবে।
সম্প্রতি দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেছেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কমিশনকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় রাখতে বলা হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা হলো সময়োপযোগী একটি বেতন কাঠামো ঘোষণা করা। তবে, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও চলছে। আমরা সময় পেলে ঘোষণা করে যাব। আর সেটা নতুন সরকার এসে বাস্তবায়ন করবে।
অর্থ উপদেষ্টা জানান, সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নে ইতোমধ্যে একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কমিশন সরকারকে নতুন কাঠামোর প্রস্তাব দেবে। গত জুলাইয়ে গঠিত এই পে কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তার বক্তব্য থেকে জানা যায়, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য আর্থিক সংকট বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনের আগে নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার সম্ভাবনা নেই। তবে পে-কমিশন প্রতিবেদন জমা দিলে সেই অনুযায়ী একটি বেতন কাঠামোর সুপারিশমালা চূড়ান্ত করবে সরকার। ভোটের পর নতুন সরকার ক্ষমতায় এসে তা বাস্তবায়ন করবে।
অবশ্য এই নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা ও বাস্তবায়ন হওয়ার আগ পর্যন্ত সরকারি চাকরিজীবীরা নিয়ম অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতা প্রাপ্য হবেন। এমন পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে সরকারের অর্থ বিভাগ।
পে-কমিশন গঠনের পর ১৪ আগস্ট প্রথম সভাও করেছে কমিশন। কমিশনের প্রথম সভায় গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক অবস্থা। এ অবস্থায় সরকারি চাকুরেদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা করা কতটা উপযোগী তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।