এ সময় বাধ্য হয়ে নিচে নেমে এসে এশিয়ান প্রতিপক্ষের আক্রমণ সামাল দিতে হয় উরুগুয়েকে। দ. কোরিয়ার আক্রমণাত্মক ফুটবলের চাপে কিছুটা এলোমেলো খেলতে শুরু করে বিশ্বকাপের প্রথম চ্যাম্পিয়নরা। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার আক্রমণের চাপ কমে আসলে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে উরুগুয়ে।
ম্যাচের ১৯ মিনিটে দক্ষিণ কোরিয়ার ডি-বক্সে দারুণভাবে বল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শট নিয়েছিলেন ফেদে ভালভের্দে। যদিও তাঁর সেই শট পোস্টের ওপর দিয়ে যায়। একটু পরেই ম্যাচের তখন পর্যন্ত সহজ সুযোগটি পেয়েছিল উরুগুয়ে। তবে শট করতে গিয়ে বল পায়েই লাগাতে পারেননি দারউইন নুনিয়েজ।
গোল না পেলেও কিছু সময় মিডফিল্ড নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে উরুগুয়ে। আর দক্ষিণ কোরিয়াকে তখন নির্ভর করতে হচ্ছিল প্রতি আক্রমণের ওপর। তেমনই এক আক্রমণে দুজনকে কাটিয়ে সনের নেওয়া শট বাধাগ্রস্ত হয় ডি-বক্সে। পরের মুহূর্তে মাথিয়াস ওলিভেরা ঠিকঠাক পাস দিতে না পারায় সুযোগ নষ্ট হয় উরুগুয়ের।
এরপর আবারও উরুগুয়ের ওপর চাপ প্রয়োগ করে খেলতে শুরু করে দক্ষিণ কোরিয়া। ৩৪ মিনিটে সুবিধাজনক অবস্থানে বল পেয়ে গোল করতে পারেননি হোওয়াং উই-জো। আক্রমণের ধারায় একাধিকবার উরুগুয়েকে কাঁপিয়ে দিয়েও গোলের দেখা পাননি সনরা। তবে ৪৪ মিনিটে ফেদে ভালভার্দের কর্নারে গডিনের দুর্দান্ত হেড যেভাবে পোস্টে লেগে ফিরে আসে তা উরুগুয়ের সমর্থকদের আক্ষেপ জাগাতেই পারে।
বিরতির পরও শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবলকে পাখির চোখ করে দুই দল। তবে এগিয়ে ছিল দ. কোরিয়ায়। ম্যাচের ৫০ মিনিটে বক্সের ভেতর দারুণভাবে স্লাইড করে সনকে ঠেকিয়ে দেন হোসে হিমেনেজ।
আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে দুই দলই একে অপরের রক্ষণ ভাঙার চেষ্টা করছিল। তবে রক্ষণ দুর্গের দৃঢ়তায় বারবার ফিরতে হয়েছে হতাশ হয়ে। ৬৪ মিনিটে তেমনই এক পাল্টা আক্রমণে গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন নুনিয়েজ।
চেষ্টা করেছিলেন সুয়ারেজকে পাস দিতে। তবে দ. কোরিয়ার গোলরক্ষকের নৈপুণ্যে সফল হননি এই লিভারপুল স্ট্রাইকার। এরপর ম্যাচজুড়ে নিষ্প্রভ সুয়ারেজের পরিবর্তে কাভানিকে নামান আলোনসো। ৭১ মিনিটে আবারও লম্বা পাসের জাদুতে উরুগুয়ে রক্ষণকে বিপদে ফেলে দ. কোরিয়া।
তবে উরুগুয়ে গোলরক্ষক এগিয়ে এসে দলকে বিপদ মুক্ত করেন। ৭৫ মিনিটে ফের উরুগুয়ের রক্ষণ কাঁপায় এশিয়ান দলটি। তবে গোল যেন এদিন ভাগ্যে লেখা ছিল না। উরুগুয়েও অবশ্য সুযোগ কম পায়নি। ৮১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন নুনিয়েজ। তবে সেটিও চলে যায় পোস্টের বাইরে।
ম্যাচের শেষ দিকে ভালভের্দের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসলে হতাশ হতে হয় উরুগুয়েকে। পরের মুহূর্তে ডি–বক্সের বাইরে থেকে সনের শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। এরপর শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেও জালের ঠিকানা খুঁজে না পেলে ড্র করেই খুশি থাকতে হয় দুই দলকে।