বলিউড তারকাদের কয়েকটি সিনেমা ব্যবসাসফল হওয়ার পরই তাঁরা উদ্যোক্তা হিসেবে মাঠে নেমে পড়েন। কেননা, বলিউড জায়গাটা খুবই অনিশ্চিত। একসময়ের নামকরা তারকাও চিকিৎসাব্যয় বহন করতে হিমশিম খেয়েছেন। ফলে অনেকেই হারিয়ে গেছেন নীরবে, কেউ খোঁজ রাখেনি। তাই নানা কিছু নিয়ে আলোচনায় থাকতে ও বিকল্প আয়ের পথ খুঁজতে অনেকেই ব্যবসায় নামেন, প্রতিষ্ঠা করেন নিজের ব্র্যান্ড।
বিকল্প আয়ের জন্যই ২০২০ সালে মাত্র দেড় কোটি রুপি বা প্রায় ২ কোটি টাকা দিয়ে শখের বশে শিশুদের জামাকাপড়ের একটা ব্র্যান্ডের উদ্যোগ নেন আলিয়া ভাট। নাম ‘এড-আ-মাম্মা’। আলিয়া যখন অন্তঃসত্ত্বা, তখন তিনি এড–আ–মাম্মাকে আরও বড় করেন। ২০২২ সালের শেষের দিকে শিশুদের পোশাকের সঙ্গে যোগ হয় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল পোশাক।
তিন বছরে, অর্থাৎ ২০২৩ সালের শুরুতে আলিয়ার এই ব্র্যান্ডের বাজারমূল্য বেড়ে দাঁড়ায় ১০০ কোটি রুপি। সেপ্টেম্বরে এর বাজারমূল্য প্রায় ১৫০ কোটি রুপি বা ১৯৭ কোটি টাকা। এবার নতুন মা আলিয়ার এই শিশুদের কাপড়ের ব্র্যান্ডটিতে যোগ দিয়েছেন আরেক নতুন মা ইশা আম্বানি। দ্য ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের মতে, ভারতের সবচেয়ে বড় রিটেইলার রিলায়েন্স রিটেইল ভেঞ্চারের এই নন–এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ২০০ কোটি রুপি বা ২৬৩ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন এড–আ–মাম্মায়। ফলে আলিয়ার ছোট ব্র্যান্ডটি এখন আর ছোট নয়, প্রায় ৪৬০ কোটি টাকার সম্পদ। দেশের বাইরে ক্রমেই বিক্রি বাড়ছে এড–আ–মাম্মার।
আলিয়া ভাট ও ইশা আম্বানি প্রায় একই সময়ে মা হয়েছেন। আলিয়ার কন্যা রাহার জন্ম ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর। একই বছরের ১৯ নভেম্বর ইশা আম্বানি হয়েছেন এক মেয়ে ও এক ছেলের মা। মেয়ের নাম আদিয়া, ছেলে কৃষ্ণা। এই দুই নতুন মা এখন একসঙ্গে নেমেছেন নতুন মা আর শিশুদের জামাকাপড় বিক্রিতে।
ডিএনএ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইশা বলেন, ‘আলিয়ার মেয়ে আর আমার যমজ সন্তানেরা মাত্র দুই সপ্তাহের ছোট-বড়। আমরা দুজন একসঙ্গে এড-আ-মাম্মা ম্যাটারনিটির পোশাক পরেছি। এখন আমাদের সন্তানেরা এই ব্র্যান্ডের পোশাক পরছে। তাই এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। ব্র্যান্ডটির জন্য আমার হৃদয়ে বিশেষ স্থান আছে।’
স্বাভাবিকভাবেই এটি আলিয়ার জন্যও অনেক বড় ঘটনা। আলিয়ার উদ্যোগে যে পোশাকের ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটির একটা বড় অংশের অংশীদার এখন রিলায়েন্স রিটেইল ভেঞ্চার, যাঁর মোট শেয়ারের অর্থমূল্য ৯২ বিলিয়ন ডলার বা ১০ লাখ কোটি টাকা!
আলিয়া তাঁর ইনস্টাগ্রামে ইশার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমার ব্র্যান্ডটির জন্য এর চেয়ে বড় খবর আর কী হতে পারে! ইশা আর আমি, দুই মা এখন “ভোকাল ফর লোকাল” ও “প্যারেন্ট ফ্রেন্ডলি-প্ল্যানেট ফ্রেন্ডলি” ব্র্যান্ডটির দেখভাল করব।’