উইঘুর-তিব্বত নিয়ে চুপ চীনের চ্যাটবট

0
91
চীনের চ্যাটবট

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, তিব্বত কিংবা জিনজিয়াংয়ের উইঘুর মুসলিমদের সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে উত্তর আসছে– অন্য কিছু বলুন। মানে এসব সংবেদনশীল বিষয়ে কথা বলতে রয়েছে বাড়তি সতর্কতা। চীনের বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি বাইদোর আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) চ্যাটবট আর্নি এড়িয়ে যাচ্ছে এসব বিষয়। খবর বিবিসির

সম্প্রতি এই চ্যাটবট উদ্বোধন করা হয় মহা ধুমধামে। এটি চালু করার প্রথম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৩৩ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ব্যবহারকারী যুক্ত হয়। গড়ে প্রতি মিনিটে ২৩ হাজার প্রশ্ন করা হয়েছে এই চ্যাটবটকে।

কিন্তু আর্নিকে যদি প্রশ্ন করা হয়, কেন শি জিনপিং জি২০ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন না? তখন এটি সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে জিনপিংয়ের অফিসিয়াল প্রোফাইল লিঙ্ক দিয়ে তথ্য দেয়।

চীনের সরকার যুব বেকারত্বের তথ্য প্রকাশ করা বন্ধ করেছে, এটি কি দেশটির দুর্বলতা– এ প্রশ্ন করা হলে উত্তর আসে, ‘আমি দুঃখিত! আমি এখনও এ প্রশ্নের উত্তর জানি না।’

আর্নিকে বিতর্কিত শব্দ এবং বাক্যের প্রতি নজর রাখতে শেখানো হয়েছে। তাই কোনো ব্যবহারকারী যখন জিজ্ঞেস করেন, জিনজিয়াং ও তিব্বত কি ভালো জায়গা? তখন সেটি ওই ব্যবহারকারীর সরাসরি কোনো উত্তর দেয় না।

চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে ‘গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ। অধিকার গোষ্ঠীগুলোও চীনের সরকারকে জাতিগত তিব্বতিদের ওপর দমন-পীড়নের অভিযোগ এনেছে। তবে বেইজিং উভয় দাবি অস্বীকার করে আসছে।

গত আগস্টে বেশ কয়েকটি জেনারেটিভ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিষেবাকে চীনে কাজ করার অনুমোদন দেওয়া হয়। কিন্তু চীনের সাইবার স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রায় দিয়েছে, এসব এআইর উচিত মূল সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিফলিত করা এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বা জাতীয় ঐক্য নষ্ট করে এমন তথ্য প্রচার এড়িয়ে যাওয়া।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.