শিরোপা ধরে রাখার মিশনে কোপা আমেরিকায় প্রথমবারের মতো খেলতে আসা কানাডার বিপক্ষে গোল মিসের মহড়ার পরও জয় দিয়েই শুভসূচনা করল ডি মারিয়া-লিওনেল মেসিরা। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে ম্যাচের প্রথমার্ধে মেসিদের রুখে দিয়েছিল কানাডা। তবে মেসির অবিশ্বাস্য দুই গোল মিসের ম্যাচে দ্য রেডসদের বিপক্ষে জয় পেয়েছে আলবিসিলেস্তেরা।
শুক্রবার (২১ জুন) আটালান্টার মার্সিডিস বেঞ্জ স্টেডিয়ামে কানাডাকে ২-০ গোল ব্যবধানে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধের দুটি গোলের একটি আসে জুলিয়ান আলভারেজের পা থেকে। অপর গোলটি করেন লাওতারো মার্টিনেজ। দুটি গোলেই অ্যাসিস্ট করেন মেসি।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই কানাডিয়ান শিবিরে আক্রমণ চালাতে থাকে মেসি-ডি মারিয়ারা। তবে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও গোলের সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না আর্জেন্টাইনরা।
উল্টো স্কালোনির দলকে আক্রমণে চেপে ধরে কানাডা। ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই কানাডার সবচেয়ে বড় তারকা আলফনসোর দুর্দান্ত শট রুখে দেন আকাশি-নীল শিবিরের ডিফেন্ডাররা।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে ভালো সুযোগ পেয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। তবে ম্যাক অ্যালিস্টারের বাড়ানো বলে শূন্যে উড়িয়ে দেন লিয়েন্দ্রো। মিনিট তিনেক পরে কাডানার গোলকিপারকে একা পেয়েও সুযোগ লুফে নিতে পারেননি ডি মারিয়া। গোলরক্ষক ম্যাক্সিম ক্রেপো’র পায়ে লেগে সুযোগ হাতছাড়া করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।
এরপর ম্যাচের ৩৮তম মিনিটে রদ্রিগো ডি পলের ক্রসে হেড নিয়েছিলেন অ্যালিস্টার। কিন্তু জোর ছিল না। সহজেই বল নিয়ন্ত্রণে নেন কানাডার গোলরক্ষক।
বিরতির ঠিক আগমুহূর্তে আর্জন্টাইন বাজপাখিকেও পরীক্ষায় পড়তে হয়েছিল। কানাডিয়ান ফুটবলারের আলতো শট রুখে দিলে ০-০ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
বিরতি থেকে ফিরে দলকে লিড এনে দেন ম্যানসিটির তরুণ স্ট্রাইকার লওতারো মার্টিনেজ। ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে মাত্র ১০ গজ দূর থেকে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন আলভারেজ। এতে ১৩ ম্যাচ পর গোলখরা কাটালেন এই স্ট্রাইকার।
ম্যাচের শেষ সময়ে দ্বিতীয় গোল পেয়েছে মেসির দল। ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের পাস থেকে ডান পায়ের টোকায় বল জালে জড়ান বদলি নামা ইন্টার মিলান স্ট্রাইকার মার্টিনেজ। এতে সহজ জয়ে মাঠ ছাড়ে আর্জেন্টিনা।