আর্জেন্টিনার জয়যাত্রায় জোড়া গোলের সঙ্গে রেকর্ডও গড়লেন মেসি

0
132
জোড়া গোল করে আর্জেন্টিনাকে জেতালেন মেসি।

পেরু ২–০ আর্জেন্টিনা

 

 

লিমায় ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে স্বাগতিক পেরুকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধেই জোড়া গোল করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। এ জয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শতভাগ জয়ের ধারা বজায় রাখার পাশাপাশি শীর্ষস্থানও ধরে রাখল আর্জেন্টিনা। ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট লিওনেল স্কালোনির দলের। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ চারটি দলের মধ্যে শুধু আর্জেন্টিনাই এখন পর্যন্ত নিজেদের সব ম্যাচ জিততে পেরেছে।

অষ্টম ব্যালন ডি’অর উঠছে মসির হাতে

পাঁচ দিন আগে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ১-০ গোলের জয়ে বদলি হয়ে মাঠে নেমেছিলেন মেসি। আজ লাওতারো মার্তিনেজের জায়গায় তাঁকে অধিনায়ক হিসেবে আর্জেন্টিনার একাদশে ফিরিয়ে আনা হয়। ৪২ মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করে ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দেন আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড। ৩২ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজ পেরুর বক্সে বাঁ প্রান্তে পাস বাড়ান নিকো গঞ্জালেসকে। ফিওরেন্তিনা উইঙ্গার বক্সে মেসিকে ক্রস করেন। বাঁ পায়ের ঠান্ডা মাথার শটে বল জালে জড়ান মেসি।

এই গোলের মধ্য দিয়ে উরুগুয়ে তারকা লুইস সুয়ারেজকে টপকে দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার রেকর্ড গড়েন মেসি (৩০)। ঠিক এর ১০ মিনিট পরই নিজের এই গোলসংখ্যাকে ৩১ এ উন্নীত করেন ইন্টার মায়ামি তারকা। ৪২ মিনিটে এনজো ফার্নান্দেজের বক্সে বাড়ানো পাসে শট নিতে গিয়ে ডামি করেন হুলিয়ান আলভারেজ। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের ডামিতে শট নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যান মেসি। এ যাত্রায়ও গোল করতে তাঁর ভুল হয়নি।

মেসির জন্য এক খুদে দর্শক ঢুকে পড়েছিল মাঠে। নিরাপত্তারক্ষীরা পরে তাকে নিয়ে বের করে দিয়েছে।

দক্ষিণ আমেরিকার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ইতিহাসে ম্যাচে সর্বোচ্চসংখ্যক জোড়া গোলের রেকর্ডেও এখন ভাগ বসালেন মেসি। চিলির অ্যালেক্সিস সানচেজ ও বলিভিয়ার হোয়াকিন বোতেরোর সঙ্গে সমান ৫বার করে ম্যাচে জোড়া গোল করেছেন। সব মহাদেশ মিলিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডে মেসি এখন চতুর্থ। ৩৯ গোল নিয়ে শীর্ষে গুয়াতেমালার কার্লোস রুইজ। ৩৬ গোল নিয়ে দুইয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, ৩৫ গোল নিয়ে তিনে ইরানের আলী দায়ি ও ৩১ গোল নিয়ে চারে মেসি।

পেরুর বিপক্ষে মেসি হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন। ৫৭ মিনিটে তাঁর করা গোলটি অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেয় ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) প্রযুক্তি। হ্যাটট্রিক না হলেও বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পেরুর বিপক্ষে গোল করে আজ একটি গেরো ছুটিয়েছেন মেসি। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দুটি দলের বিপক্ষে এত দিন তিনি গোল পাননি—পেরু ও ব্রাজিল। পেরুর বিপক্ষে আজ গোল পাওয়ার পর রইল বাকি ব্রাজিল।

পেরুর বিপক্ষে অ্যাকশনে মেসি।

পেরু মোটেও ভালো খেলতে পারেনি। এবার বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ৪ ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেনি পেরু, যা দক্ষিণ আমেরিকার বাছাইয়ের ইতিহাসে প্রথম নজির। বাছাইপর্বে সব মিলিয়ে মোট ৫২০ মিনিট প্রতিপক্ষের জালে কোনো শট নিতে পারেনি পেরু। আর আর্জেন্টিনা গত ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ ফাইনালের পর থেকে এখনো কোনো গোল হজম করেনি। ৭১০ মিনিট নিজেদের জাল অক্ষত রেখেছে লিওনেল স্কালোনির দল। এ নিয়ে টানা ৮ ম্যাচ জাল অক্ষত রাখল আর্জেন্টিনা। সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে টানা ৮ ম্যাচ কোনো গোল হজম করেনি দক্ষিণ আমেরিকার দলটি। সর্বোচ্চ ১২ ম্যাচ গোল হজম না করার বিশ্ব রেকর্ড ইতালির (১৯৭৪)।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.