যুদ্ধবিরতির মধ্যে ইসরায়েলের কারাগার থেকে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু মুক্তি পেয়েছে। গাজা থেকে ১০ ইসরায়েলি ও থাইল্যান্ডের দুই নাগরিককে মুক্তি দিয়েছে হামাস।
এর আগে সোমবার ১১ ইসরায়েলি জিম্মি ও ৩৩ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে গত শুক্রবার থেকে চলা যুদ্ধ বিরতিতে ১৮০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তি দিল ইসরায়েল। অন্যদিকে হামাস মুক্তি দিয়েছে অর্ধশতাধিক ইসরায়েলিকে। খবর বিবিসির।
যুদ্ধবিরতির বর্ধিত ঘোষণা অনুযায়ী, আজ বুধবারও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল হামলা চালাবে না। এদিকে গাজাবাসীর আশা, ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি আরও বাড়াবে।
গত বুধবার কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় হামাস ও ইসরায়েল। পরে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া চার দিনের যুদ্ধবিরতি শেষ হয় গত সোমবার। চার দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে কাতার জানায়, ইসরায়েল ও হামাস দুই দিনের মেয়াদ বাড়াতে সম্মত হয়।
ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে ওই দিনই পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর মধ্যে জেরুজালেমসহ ফিলিস্তিনের কয়েকটি জায়গায় আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ছাড়া গাজা থেকে পালানোর সময় বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা চালানোর খবর এসেছে। হামলা হয়েছে গাজার হাসপাতালেও।
ফিলিস্তিনের সরকারি তথ্য দপ্তরের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে ৬ হাজার ১৫০ জন শিশু এবং ৪ হাজার নারী রয়েছেন। গাজায় এখনো প্রায় ৭ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ জনের বেশি।
এদিকে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০০ ছাড়িয়ে গেছে বলে সরকারি তথ্যে বলা হয়েছে।