তিনি আরও বলেন, ‘জন্মের পর রাজ্য প্রথম ঢাকার বাইরে এসেছে। শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে নিরিবিলি গ্রামীণ পরিবেশে আমাদের বড়দের যেমন ভালো লাগছে, দেখে মনে হচ্ছে নতুন পরিবেশে রাজ্যও উপভোগ করছে। দরজার মুখে দাঁড়িয়ে রাজ্যকে কোলে নিয়ে সূর্য ডোবা দেখছি, কোনো কোনো দিন সূর্য ওঠাও দেখছি। দারুণ মুহূর্ত। মনে হয় যেন একবারেই থেকে যাই এখানে। হা হা হা…।’
রাজ্যকে নিয়ে বাবা রাজেরও উন্মাদনা কম নয়। কথায় কথায় রাজ্য প্রসঙ্গই ঘুরেফিরে আসে তাঁর মুখ থেকে। এ সফরে রাজও সঙ্গে আছেন। এই অভিনেতা জানান, নতুন পরিবেশে রাজ্যকে চঞ্চল মনে হয়েছে। বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে সেও নতুন পরিবেশে সময়কে উপভোগ করছে। খালি হাসে আর ছটফট করে।’
রাজ আরও জানান, পুরাই মা–ভক্ত হয়েছে রাজ্য। রাজ বলেন, ‘পরীমনি ছাড়া সে কিছুই বুঝতে চায় না। মাকে কাছে না পেলেই কান্না শুরু করে দেয়। ঘুম ছাড়া বেশির ভাগ সময় পরীর কাছে থাকে রাজ্য। এমনকি আমার কোলেও বেশিক্ষণ থাকতে চায় না।’
এদিকে অন্যদের মতো চিত্রনায়িকা পরীমনির মনেও উন্মাদনা ছড়িয়েছে এবারের বিশ্বকাপ ফুটবল। আর্জেন্টিনার কট্টর সমর্থক এই নায়িকা। স্বামী অভিনেতা রাজ ব্রাজিলের সমর্থক হলেও আর্জেন্টিনার খেলার দিন পরীকে উৎসাহ জোগাতে আর্জেন্টিনার জার্সি পরে একসঙ্গে খেলা দেখতে বসে যান তাঁরা।
আজ রাত ১টার আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ডের খেলা দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরীমনি। তিনি বলেন, ‘মেক্সিকোর সঙ্গে প্রথমার্ধে খেলায় আমার দম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। খেলা দেখতে বসে টেনশনে আমার এমন হয়। আমি নিশ্চিত, এই অবস্থা আমার আজও হবে।’
ব্রাজিল সমর্থক হয়ে আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে রাজের খেলা দেখা প্রসঙ্গে পরীমনি বলেন, ‘আমি তো মেসির পাগল। আমাকে খুশি করতে রাজও আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে খেলা দেখে। কিন্তু খেলা দেখতে বসে রাজ যেভাবে টিপ্পনী কাটে আমাকে, খেলায় হারার চেয়ে বেশি কষ্ট লাগে।’