আফরান নিশো। নন্দিত অভিনেতা। রায়হান রাফী পরিচালিত ‘সুড়ঙ্গ’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়েছে এই তারকা অভিনেতার। ছবিটি মুক্তির পর দর্শক চাহিদার সঙ্গে বেড়েছে শো-ও। এই সিনেমা ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হয় নিশোর সঙ্গে
এই ভালো লাগা অন্যরকম, যা বলে বোঝানো যাবে না। মনে মনে এমনটাই চেয়েছিলাম, বড় পর্দায় আমার কাজ দর্শক পছন্দ করবেন। গত ক’দিন ঢাকার কয়েকটি সিনেমা হলে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের মতামত নেওয়ার চেষ্টা করেছি। সবাই ছবিটি পছন্দ করছেন। ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখছেন। সব শো হাউসফুল যাচ্ছে। এই সাফল্য আমার একার নয়; সুড়ঙ্গ সিনেমার সঙ্গে যুক্ত সব মানুষের। পরিচালক, অভিনয়শিল্পী, ক্যামেরার পেছনের মানুষ– সবাই নিজেদের সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন এই সিনেমায়।
প্রথম সিনেমায় অভাবনীয় সাড়া পেলেন। কখনও কি মনে হয়েছে, সিনেমায় অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিতে একটু বেশি সময় নিয়েছেন?
আমি মনে করি না, সিনেমায় অভিনয়ের সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় নিয়েছি। এর আগেও অনেক সিনেমার প্রস্তাব পেয়েছি, কিন্তু সেগুলো আমার অভিনেতা সত্তাকে খুশি করতে পারেনি। তাই অপেক্ষায় থেকেছি কাঙ্ক্ষিত কাজ, সঠিক সময় ও সুযোগের। অবশেষে এই সময়ে এসে পেয়েছি ‘সুড়ঙ্গ’। ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য পড়ে মনে হয়েছে, এই গল্পে বড় পর্দায় অভিষিক্ত হওয়া যায়। আর সেটাই করেছি।
‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার মাসুদ চরিত্রের জন্য যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন, তখনকার অনুভূতি কেমন ছিল?
সিনেমায় প্রথম কাজ করছি– এই ভাবনাটা অন্যরকম এক অনুভূতির জন্ম দিয়েছিল। বহুকাল ধরে শুনে আসছি– প্রথম সবকিছু নিয়েই থাকে অন্যরকম ভালো লাগা, ভয়, আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন বুননসহ অনেক কিছু। আবারও এ কথার উপলব্ধি হয়েছে ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার শুটিংয়ে।
ছবির দৃশ্যধারণের সময় তো অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে…
যখন আমি ছবির চিত্রনাট্য পড়েছি, তখনই জেনেছি, ‘সুড়ঙ্গ’-তে আমাকে ঢুকতে হবে। মানসিক প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছিলাম। আমরা সুড়ঙ্গের ভেতরের অংশটুকুর শুটিং করেছি চট্টগ্রামে। যখন লোকেশনে যাই, তখন ওই সুড়ঙ্গটা আরও ছোট ছিল। যখন দেখলাম আমার চেয়ে বেশি কষ্ট করছেন সিনেমার ক্রুরা, তখন আমার সব কষ্ট সহ্য হয়ে গিয়েছিল। প্রচণ্ড গরমের মধ্যে একেকটা শটের জন্য ২০ থেকে ২৫ মিনিট সুড়ঙ্গের ভেতর থাকতাম। ওই ২০-২৫ মিনিট আমার কাছে মনে হতো, দুই থেকে তিন দিনের পরিশ্রমের সমান।
সিনেমা সুপারহিট। ছোট পর্দা বা ওটিটিতে অভিনয় করবেন?
ভালো কিছু হতে পারে– এমন সম্ভবনা যে কাজেই থাকবে, সেটা লুফে নেব। মাধ্যম নিয়ে ভাবনা নয়। আমি একজন অভিনেতা। আমার কাছে অভিনয়টাই মুখ্য। দর্শকরা একজন শিল্পীর অভিনয় দেখেন। শিল্পীরাও সব মাধ্যমে অভিনয় করেন।
অনেকে বলেন, কাজের বিষয়ে আপনি ভীষণ খুঁতখুঁতে…
আমি এমনই। তাই অভিনয়ে বাছবিচার করি ভালো কিছুর আকাঙ্ক্ষায়। বলে রাখি, আমি আরামপ্রিয় নই, পরিশ্রমী অভিনেতা।