আমিরাতের বিমানে বোমা হামলা, নিহত ৪০

0
18
আমিরাতের বিমানে বোমা হামলা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি বিমান বোমা মেরে ধ্বংস করে দিয়েছে সুদানের বিমান বাহিনী। সুদানের দারফুরে বিদ্রোহী আধাসামরিক বাহিনী— র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) নিয়ন্ত্রিত একটি বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বোমা হামলার শিকার হয় বিমানটি। কলম্বিয়ার একদল ভাড়াটে সৈন্য ছিল বিমানটিতে।

সুদান সেনাবাহিনী (এসএএফ) সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের এক প্রতিবেদনে নিশ্চিত করা হয়েছে এ তথ্য। বুধবার গভীর রাতে সংঘটিত এই হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে চ্যানেলটি। খবর আল জাজিরার।

আরএসএফ নিয়ন্ত্রিত দারফুরের এ বিমানবন্দরটিতে সম্প্রতি বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে সুদানের সেনাবাহিনী। বিদ্রোহের জেরে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আরএসএফের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত আছে রাষ্ট্রীয় এ বাহিনী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংবাদ সংস্থা এএফপির সঙ্গে কথা বলার সময় একটি সামরিক সূত্র জানিয়েছে, দারফুরের নিয়ালা বিমানবন্দরে আমিরাতের বিমানটিতে বোমা হামলা করে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা হয়েছে।

অবশ্য, আরএসএফের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি এ ব্যাপারে। তেমনি আমিরাতও তাদের বিমান ধ্বংসের বিষয়টি স্বীকার করছে না। এক আমিরাতি কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সুদানের সেনাবাহিনী বিমানটি ধ্বংস করেছে বলে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

তবে, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক গবেষণা ল্যাব কর্তৃক প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিতে দক্ষিণ দারফুর রাজ্যের রাজধানীর বিমানবন্দরে একাধিক চীনা তৈরি দূরপাল্লার ড্রোন দেখা গেছে।

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বলেছেন, হামলায় কতজন কলম্বিয়ান মারা গেছে, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে তার সরকার। তিনি বলেন, তাদের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে পারি কিনা, চেষ্টা করে দেখছি।

সুদান সেনাবাহিনীর দাবি, বিমানটি উপসাগরীয় অঞ্চলের একটি বিমানঘাঁটি থেকে উড়েছিল। এতে কয়েক ডজন বিদেশি যোদ্ধা এবং সামরিক সরঞ্জাম ছিল। আরএসএফের সহায়তার উদ্দেশ্যে সেসব পাঠানো হয়। অবতরণ করা বিমানবন্দরটিও আধাসামরিক বাহিনীটি নিয়ন্ত্রণ করে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে সুদানে। দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে নিয়ালা বিমানবন্দরের মাধ্যমে আরএসএফকে ড্রোনসহ উন্নত অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ করে আসছে সুদানের সেনাবাহিনী। তবে, বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে আমিরাত।

গত সোমবারই (৪ আগস্ট) সুদানের সেনাবাহিনী-সমর্থিত সরকার আরএসএফের হয়ে লড়াই করার জন্য কলম্বিয়ান ভাড়াটেদের নিয়োগ এবং অর্থায়নের অভিযোগ করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে। এমনকি এটি প্রমাণ করার মতো যথেষ্ট নথি নিজেদের কাছে রয়েছে বলেও দাবি সুদান সরকারের।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষের দিকে কলম্বিয়ান ভাড়াটে যোদ্ধাদের আগমন শুরু হয় দারফুরে। সেখানে বিভিন্ন ফ্রন্টে লড়াই করছে তাড়া।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.