৩ বছর পর ছাড়া পেলেন ‘মাদক সম্রাটের’ স্ত্রী

0
96
এমা কোরোনেল। বিবিসির সংগৃহীত ছবি

মেক্সিকোর কুখ্যাত ‘মাদক সম্রাট’ জোয়াকিন গুজম্যানের স্ত্রী এমা কোরোনেল বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিন বছর কারাবাসের পর মুক্তি পেলেন তিনি।

২০১৪ সালে জোয়াকিন গুজম্যান যখন বন্দি ছিলেন, সেই সময় দলের সঙ্গে তাঁর লোকজনের যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করতেন এমা। তিনি নিজেও মাদক পাচার এবং বে-আইনি পথে অর্থ পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০২১ সালে তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আইনজীবীর দাবি, জেলের ছোট ঘরে থাকতে কষ্ট হতো এমার। তাই দিনে ২২ ঘণ্টা শুধুমাত্র বই পড়ে সময় কাটাতেন এমা।

১৯৮৯ সালে সান ফ্রান্সিসকো দুরাঙ্গো গ্রামে জন্ম এমার। ছোটবেলা থেকেই মডেলিংয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর। ২০০৭ সালে একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। সেখানেই জোয়াকিন গুজম্যানের সঙ্গে প্রথম আলাপ হয়। তারা সেরে ফেলেন বিয়ের কথা। বিয়ের চার বছর পর ২০১১ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার এক হাসপাতালে যমজ কন্যাসন্তানের জন্ম দেন এমা।

১৯৫৭ সালের মেক্সিকোর সিনালোয়ায় জন্ম জোয়াকিনের। এল চ্যাপো নামেই বেশি পরিচিত তিনি। বাবার হাত ধরেই মাদক দুনিয়ায় পা রাখেন। তারপর অন্ধকার দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েন। মাদকচক্রের পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও নাম জড়িয়েছে। বর্তমানে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছেন।

২০০১ সাল থেকে পলাতক জোয়াকিনের খোঁজে মোটা টাকা উপহার ঘোষণা করেছিল আমেরিকা। তাই এমার মেয়েদের জন্মসনদ থেকে এল চ্যাপোর নাম সরিয়ে দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে চ্যাপোকে প্রথম গ্রেপ্তার করা হয়। মাদক পাচার এবং খুনের অভিযোগে তাঁকে ২০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলে থাকার সময় ২০০১ সালে কারারক্ষীদের ঘুষ দিয়ে পালিয়ে যান তিনি।

২০১৪ সালে আবার গ্রেপ্তার হন। ২০১৫ সালে সাজা ঘোষণার আগে আবার জেল থেকে পালিয়ে যান। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে এল চ্যাপোকে আবার গ্রেপ্তার করার এক বছর পর আমেরিকায় প্রত্যার্পণ করা হয়। ২০১৯ সালে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স ও আনন্দবাজার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.