আবারও ব্রাজিলিয়ান ক্লাবের জাদু, এবার বিদায় ইন্টার মিলানের

0
19
লাওতারো মার্তিনেজের মুখের ওপর থিয়াগো সিলভার উদ্‌যাপনরয়টার্স

ক্লাব বিশ্বকাপে আরও একবার দেখা গেল ব্রাজিলিয়ান জাদু। আর এবার ব্রাজিলিয়ান জাদুতে বশীভূত হলো চ্যাম্পিয়নস লিগের রানার্সআপ ইন্টার মিলান। শার্লটে গতকাল রাতে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ইন্টারকে ২–০ গোলে হারিয়ে ফিরতি বিমানের টিকিট ধরিয়ে দেয় ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স। এই জয়ে ব্রাজিল থেকে পালমেইরাসের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট পেল ফ্লুমিনেন্স।

ব্যাংক অব আমেরিকা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৩ মিনিটেই গেরমান কানোর গোলে এগিয়ে যায় ফ্লুমিনেন্স। শুরুতে গোল খেয়েও দমে যায়নি ইন্টার। আক্রমণ, বল দখল এবং সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল তারাই। কিন্তু এগিয়ে থাকা ফ্লুমিনেন্সের প্রতিরোধ ভেঙে গোল আদায়ের আসল কাজটাই করতে পারেনি তারা।

বিরতির পরও দেখা মিলেছে একই দৃশ্যের। দারুণভাবে পাল্টা জবাব দিয়ে ইন্টারকে বারবার হতাশ করেছে ফ্লুমিনেন্স। ইন্টার কাঙ্ক্ষিত গোলটি না পেলেও যোগ করা সময়ে ফ্লুমিনেন্স ঠিকই দ্বিতীয় গোলটি আদায় করে নেয়। বদলি নামা হারকিউলিস ৯৩ মিনিটে গোল করে নিশ্চিত করেন ইন্টারের বিদায়।

সাম্প্রতিক ছন্দ এবং ফেবারিটতত্ত্বের হিসাবে ফ্লুমিনেন্সের এই জয় চমক হলেও ইতিহাসে কিন্তু ভিন্ন চিত্রও আছে। ফ্লুমিনেন্স এ নিয়ে টানা ১৫ ম্যাচে ইতালিয়ান ক্লাবের বিপক্ষে অপরাজিত থাকল।

ফ্লুমিনেন্সের উচ্ছ্বাস
ফ্লুমিনেন্সের উচ্ছ্বাস, রয়টার্স

যদিও গতকাল রাতের আগে ফ্লুমিনেন্স ইতালিয়ান ক্লাবের বিপক্ষে সর্বশেষ মাঠে নেমেছিল ১৯৮৯ সালে। নাপোলির বিপক্ষে সেই প্রীতি ম্যাচে ফ্লুমিনেন্স জিতেছিল ১–০ গোলে। এরপর গত ৩৬ বছরে এই প্রথম ইতালিয়ান ক্লাবের মুখোমুখি হলো তারা।

ইন্টারকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার পর ফ্লুমিনেন্স অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা বলেছেন, ‘আমরা জানতাম তারা সহজ প্রতিপক্ষ হবে না। এক মাসের কম সময় আগে তারা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে খেলেছে। কিন্তু আমরা সত্যিই অনেক ভালো খেলেছি।’

ম্যাচসেরা কলম্বিয়ান উইঙ্গার জন আরিয়াস বলেন, ‘এটা ব্রাজিলের জন্য, আমার দেশের জন্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়। আমরা শুধু ফ্লুমিনেন্সকে প্রতিনিধিত্ব করছি না, বরং আমরা পুরো মহাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি। বিশ্বকাপে আমরা যা করে দেখিয়েছি, তা নিয়ে বেশ তৃপ্ত।’

ইন্টারের বিপক্ষে ফ্লুমিনেন্সের এই জয়ে ইউরোপিয়ান ক্লাবের বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ানদের দাপটও অব্যাহত থাকল। ক্লাব বিশ্বকাপে ইউরোপিয়ানদের বিপক্ষে ৭ ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে ৩টিতে জিতেছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলো, হেরেছে ২টিতে এবং ড্র হয়েছে অন্য ২ ম্যাচ। ইন্টারের আগে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবগুলোর কাছে হেরেছিল পিএসজি ও চেলসি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.