ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে মুজাম্মেল নামে এক ছাত্র বলেন, ‘নারী শিক্ষার্থীরা ক্লাসে না ফেরা পর্যন্ত আমরা বর্জন কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আমরা আমাদের পড়াশোনাও বর্জন করব। আর শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেব না।’
নাবিদুল্লাহ নামের অপর এক ছাত্র বলেন, ‘আমাদের বোনদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরাও আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে চাই না।’
টোলো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রভাষকও তালেবানকে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়াটা দুর্ভাগ্যজনক।
শিক্ষক তৌফিক উল্লাহ বলেন, ‘আমরা ইসলামিক এমিরেট (আফগানিস্তান) কর্তৃপক্ষকে বলছি আমাদের বোনদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন আবারও খুলে দেওয়া হয়।’
কাবুলের বাসিন্দারাও বলছেন তালেবান সরকার যেন যত দ্রুত সম্ভব নারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।
কাবুলের বাসিন্দা আসমা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল এবং ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়াটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
সিয়ার নামে কাবুলের আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দিয়ে এবং নারীদের পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত করে আফগানিস্তানকে সমৃদ্ধ করা যাবে না।’