সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিহাব হোসেন এইচএসসিতে জিপিএ ৪.০৮ পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ফলাফল প্রকাশের পর খবরটি ছড়িয়ে পড়ে।
শিহাবের মা সাহানা খাতুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি বুক চাপড়ে অঝোরে কান্না ছাড়া কোন কথা বলতে পারেনি। অনুভূতি জানতে চাইলে কোনো কথা না বলে শুধু কান্না করছে।
এ আনন্দের দিনে শিহাবের শূন্যতা অনুভব করছেন তার পরিবার, শিক্ষক ও সহপাঠীরা। ফলাফলে খুশির পরিবর্তে তাদের মন ভারাক্রান্ত হয়ে উঠেছে।
শহীদ শিহাব এনায়েতপুর থানার মাধবপুর গ্রামের প্রবাসী শফি মিয়ার বড় ছেলে। শিহাবের দুই ভাই হাসান আলী ইমপেরিয়াল প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণি ও হোসাইন আলী স্থানীয় নুরানি মাদরাসায় কেতাবখানায় পড়াশোনা করছে।
শিহাব সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার ছুটিতে বাড়িতে এসে সবার সঙ্গে সেদিন আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। সিহাব বিএনসিসি ক্যাডেটসহ গ্রামে নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিল।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এনায়েতপুরের অন্যতম সমন্বয়ক ফয়সাল খন্দকার বলেন, শিহাব এনায়েতপুরের প্রথম শহীদ। তিনি এইচএসসিসহ সব পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে কৃতকার্য হয়েছেন।
এনায়েতপুর ইসলাহুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. সেলিম রেজা জানান, শহীদ শিহাব জিপিএ ৪.০৮ পেয়ে মেধার স্বাক্ষর রেখেছে। এটিও প্রমাণিত হয়েছে, প্রকৃত মেধাবীরাই এ আন্দোলন করেছে।