ঢাকার সচিবালয় এলাকায় আনসার সদস্যদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন।
রোবববার (২৫ আস্ট) রাত ৯টা ২০ মিনিটের দিকে সচিবালয়ের সামনে ঘটে এ ঘটনা। সংঘর্ষের কয়েক মিনিটেই শিক্ষার্থীদের জনস্রোতে পালিয়ে গেছেন আনসার সদস্যরা। এরই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সেনাবাহিনী।
এদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে সচিবালয়ে আটকে রাখে আনসার সদস্যদের একটি দল। রাত ৮টার দিও সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ নিজেদের ফেসবুক পোস্টে তাদের আটকে রাখার বিষয়ে জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। এরপর সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হন আনসার সদস্যরা। পরে স্রোতের মতো আসতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তাদের ধাওয়ায় পালিয়ে যান আনসার সদস্যরা।
এদিকে এ ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ার দিয়ে শিক্ষার্থীদের রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। রাত সোয়া ১০টার দিকে ফেসবুকে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
সারজিস আলম লিখেছেন, ‘এরা পুরনো শকুন। এটি তাদের বৃহৎ পরিকল্পনার অংশ। তাদের সব পরিকল্পনা ছাত্র-জনতা ধুলোয় মিশিয়ে দেবে। আপনারা কেউ রাজপথ ছাড়বেন না। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই নেমে আসুন। দেখি কত বড় কলিজা ওদের।’