কারও কাছে সাফল্য মরীচিকার মতো, কখনও ধরা দেয় না। আবার যাঁরা সাফল্যের দেখা পান, তাঁদের বেলায় দেখা যায়, দীর্ঘ সময়ের সাধনা আর শ্রম-ঘাম ঝরিয়ে সাফল্যের দুয়ারে পৌঁছাতে হয়েছে। এদিক থেকে অভিনেতা আদর আজাদকে সৌভাগ্যবান বলা যায়। মাত্র দুটি ছবিতে অভিনয় করেই পেয়ে গেছেন সাফল্যের দেখা। তবে এই সাফল্যের পেছনে তাঁর নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও চরিত্রের সঙ্গে মিশে গিয়ে তা দর্শকের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টায় কমতি ছিল না।
হয়তো সে কারণেই প্রথম ছবি ‘তালাশ’-এ অভিনয় করেই আদর দর্শক নজর কাড়তে পেরেছিলেন। এর পর গত ঈদে মুক্তি পাওয়া ‘লোকাল’ ছবিতে অভিনয় করে পেয়েছেন অগণিত দর্শকের ভালোবাসা আর প্রশংসা। ফলে চলচ্চিত্র অঙ্গনের আলোচিত মুখ হয়ে উঠেছেন তরুণ এই অভিনেতা। তাই শুরুতেই এই আদরের কাছে প্রশ্ন ছিল, ‘লোকাল’ মুক্তির পর এভাবে আলোচনায় আসার বিষয়টি কখনও ভেবেছিলেন কিনা? এর জবাবে আদর হেসে বলেন, “অল্প সময়ে দর্শকের কাছে এমন সাড়া পাব– সত্যি ভাবিনি।
এদিকে ‘লোকাল’ দর্শক প্রশংসা পাওয়ায় ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে আদর আজাদের। তবে বুঝেশুনে কাজ করার পক্ষেই তিনি। তাই ‘যন্ত্রণা’ ছবির শুটিং শেষ করার পর এখন শুধু পরিচালক অপূর্ব রানার ‘দ্য রাইটার’-এ কাজ করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন, ‘লোকাল’ ছবিতে আদর আজাদের অভিনয় ভালো লেগেছে, অ্যাকশন হিরো হিসেবে সে দারুণ। এমন মন্তব্য প্রেরণা জোগাচ্ছে অভিনয়জগতে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার। তবে একটা কথা সব সময় মেনে চলি; সেটা হলো সিনেমা একটি টিমওয়ার্ক। এখানে একা কারও পক্ষে ভালো কিছু করে দেখানো কঠিন। ভালো ছবির জন্য গল্প ও চরিত্র যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি নির্মাণে থাকতে হবে নতুনত্ব ও নান্দনিকতার ছাপ।
আমি মনে করি, যে প্রশংসা পাচ্ছি, তার ভাগিদার একা নই, সিনেমাসংশ্লিষ্ট সবার।” তাঁর এই কথায় স্পষ্ট, সাফল্যের পেছনে সহকর্মীদের অবদানকে তিনি কোনোভাবেই অস্বীকার করতে চান না। তাঁর প্রথম ওয়েব ছবি ‘এখানে নোঙর’ নিয়েও শুনিয়েছেন একই রকম কথা। বলেছেন, ‘এখানে নোঙর’ আমার অভিনীত প্রথম ওয়েব ছবি। যেখানে একজন সারেংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্র বাস্তব করে তুলে ধরতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। তবে বাড়তি পাওয়া এটাই– মামুনুর রশীদ, শহীদুজ্জামান সেলিম, ইন্তেখাব দিনার, শতাব্দী ওয়াদুদের মতো গুণী অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়া।’
এদিকে ‘লোকাল’ দর্শক প্রশংসা পাওয়ায় ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে আদর আজাদের। তবে বুঝেশুনে কাজ করার পক্ষেই তিনি। তাই ‘যন্ত্রণা’ ছবির শুটিং শেষ করার পর এখন শুধু পরিচালক অপূর্ব রানার ‘দ্য রাইটার’-এ কাজ করছেন। নতুন যেসব কাজ হাতে এসেছে, সেখান থেকে নির্বাচিত কাজগুলোর জন্যই ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন। আদরের কথায়, ‘নিজেকে বদলে ভিন্ন এক মানুষে রূপান্তর করে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো, রোদ-বৃষ্টি ও দুর্যোগ মাথায় নিয়ে দিন-রাত একাকার করে কাজ করে যাওয়া– এসবই দর্শকের ভালো লাগার জন্য। তাই অনেক শ্রম-ঘাম ঝরিয়ে যে কাজটি করি, তা দর্শকের মনে ছাপ ফেলুক– এটাই চাই।’