আটজন মিলে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, হত্যার পর ঝুলিয়ে রাখা হয় লাশ: পুলিশ

0
220

এ ঘটনায় গত রোববার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে পাঁচ থেকে ছয়জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে ধর্ষণ ও হত্যার মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর আজ শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মাছুম আহমদ ভুঁঞা। সেখানে জানানো হয়, ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হয় ওই স্কুলছাত্রী। এ সময় একটি সংঘবদ্ধ দলের কবলে পড়ে সে। ওই আটজন মিলে ধর্ষণের পর ফাহিমাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। পুলিশ এ ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে দুজন গতকাল শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মো. শাহজাহান, মো. শহিদ মিয়া, মাছুম বিল্লাহ, আলমগীর হোসেন ও রাসেল মিয়া। শাহজাহান ও শহিদ মিয়ার নামে এর আগেও ফুলবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার সবার বাড়ি ফুলবাড়িয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামে।

পুলিশ সুপার মাছুম আহমদ ভুঁঞা বলেন, পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, ধর্ষণকারী আটজন ইটভাটার শ্রমিক। তাঁরা দিনের বেলায় কাজ করলেও রাতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নারী পাচারের সঙ্গে যুক্ত। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে রাসেল মিয়া ও আলমগীর হোসেন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.