মাসের শুরুতে টানা কয়েক দিন ধরে ঝরেছে ভারী বৃষ্টি। গত তিন দিন বৃষ্টির দেখা মিললেও অতটা জোর ছিল না। হঠাৎ আকাশ কালো করে আসা মেঘ থেকে বৃষ্টি নেমে কিছুক্ষণ পর মিলিয়ে গেছে। আজ শনিবারও একইভাবে বৃষ্টি হতে পারে।
তবে আগামী সোমবার থেকে বৃষ্টি আবারও বাড়তে পারে। আর তা চলতে পারে টানা তিন-চার দিন। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টিপাত হতে পারে বেশি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমনটি বলা হয়েছে।
অন্যদিকে উপকূলে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় সাগর কিছুটা উত্তাল। সেখানে দমকা হাওয়া ও মেঘের ঘনঘটাও বেশি। ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও মাতারবাড়ী সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজার উপকূলে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে নিরাপদে ও উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, আগামী দুই-তিন দিন দেশের অভ্যন্তরে বৃষ্টিপাত বেশি থাকবে। বিশেষ করে দেশের উপকূলীয় এলাকার দক্ষিণাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টি বাড়তে পারে। আপাতত ঢাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আগামীকাল রাজধানীতে গত দুই দিনের মতো ছাড়া ছাড়াভাবে বৃষ্টি হতে পারে। দিনের বেশির ভাগ সময় আকাশে মেঘ থাকতে পারে। ফলে সামগ্রিকভাবে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি বাড়তে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে নেত্রকোনা ও সিলেটে ৩৪ মিলিমিটার করে। আর ঢাকায় সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে সরকারের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের হিসাবে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় দেশের উত্তরাঞ্চলের নদনদীর পানি কমে গেছে। তবে আগামী দুই দিনের মাথায় বৃষ্টি বেড়ে গেলে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের নদ–নদীর পানি বাড়তে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আগামী দুই দিনের মাথায় পদ্মা ও গঙ্গা অববাহিকায় পানি বাড়তে পারে। আর আজকের মধ্যে তিস্তা অববাহিকার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে।