৪২ বছর আগে আজকের এই দিনে দেশে ফেরেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ প্রবাসজীবন কাটিয়ে তাঁর দেশে ফেরার এই দিনটিতে (১৯৮১ সালের ১৭ মে) লাখো মানুষ তাঁকে স্বাগত জানান। এর পর থেকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটিকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলো।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যকে হত্যা করা হয়। দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বিদেশে থাকার সময় ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনা দলের সভাপতি নির্বাচিত হন।
সে সময় আওয়ামী লীগের যুববিষয়ক সম্পাদক এবং যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন আমির হোসেন আমু। তিনি এখন দলটির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য। আমির হোসেন আমু গতকাল বিকেলে বলেন, ১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর একদিকে দল ভাঙার রাজনীতি চলছিল, অন্যদিকে আওয়ামী লীগেও কোন্দল সৃষ্টি হয়েছিল। সেই পটভূমিতে দলে ঐক্যের প্রতীক হিসেবে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতেই তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়েছিল।
আমির হোসেন আমু বলেন, শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করার পর দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা দিল্লি গিয়ে বিষয়টি তাঁকে জানিয়েছিলেন। তখন দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি দেশে ফেরেন ১৯৮১ সালে।
সেই থেকে চার দশকের বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রথম রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে ১৯৯৬ সালে। এরপর ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে আজ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে আওয়ামী লীগ, এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। আজ বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল যাবে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে। বেলা সাড়ে তিনটায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, ১৯৭৫-পরবর্তী বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তাঁর নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।