দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তা শরীফ উদ্দিন পশু চিকিৎসার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন। ৮০ হাজার টাকা মাসিক বেতনে ‘কারিগরি সেবা ও বিপণন বিভাগের প্রধান’ হিসেবে বৃহস্পতিবার ওই প্রতিষ্ঠানের ঢাকার কার্যালয়ে যোগ দেবেন তিনি।
এদিকে শরীফ উদ্দিনের ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, হয়রানি, নির্যাতন ও মিথ্যাচারের’ প্রতিবাদে আজ বুধবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিন জন। তারা সবাই শরীফের করা দুর্নীতির মামলার আসামি।
নতুন চাকরির বিষয়ে শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘আমাকে নিয়ে খবর প্রকাশের পর অন্তত ৩৫ প্রতিষ্ঠান চাকরি দেওয়ার আগ্রহ দেখায়। অনেকে ফোন করেও প্রস্তাব দেন। সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা ভেটেরিনারি মেডিসিন নিয়ে। এ জন্য আমি ভেটেরিনারি ফার্মে বৃহস্পতিবার কাজে যোগ দেব।’
সংবাদ সম্মেলন করা নিয়ে তিনি বলেন, ‘চাকরি জীবনে কখনও আমি অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে আপস করিনি। অনিয়মের প্রমাণ পেলেই মামলা করেছি। এ কারণে রোষানলের শিকার হয়েছি। আমার করা মামলার আসামিরা ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করছেন। অনুসন্ধানে সত্যতা এবং দুদক অনুমোদন দেওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে আমি মামলা করেছি। এখানে ব্যক্তিগত আক্রোশের কিছু নেই।’
২০১১ সালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) পাস করেন শরীফ উদ্দিন। ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর তিনি দুদকে যোগদান করেন। এরপর গত বছর ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
শরীফের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
বুধবার শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের অবসরপ্রাপ্ত জিএম সারওয়ার হোসেন, সার্ভেয়ার দিদারুল আলম ও আরএফ বিল্ডার্সের মালিক দেলোয়ার হোসেন।
সারওয়ার হোসেন বলেন, ‘সব নিয়ম মেনে নগরের হালিশহর থেকে চান্দগাঁওয়ে ১২টি গ্যাসের চুলার সংযোগ স্থানান্তর করেছিলাম। শরীফের শাশুড়ির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি মামলা করেন।’ বাকি দুজনের অভিযোগ, অবৈধ সুবিধা নিতে না পেরে শরীফ তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।