উত্তরের জেলা দিনাজপুরে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। একইসঙ্গে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। কনকনে শীতে এই অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, রোববার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সারাদেশের মধ্যেও সর্বনিম্ন। বাতাসের আদ্রতা ৯০ শতাংশ ও গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২ কিলোমিটার।
এর আগে শনিবার এই জেলার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ৯৭ শতাংশ এবং গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার ছিল।
গত কয়েকদিন ধরেই দিনাজপুর জেলায় নিম্নমুখী তাপমাত্রা বিরাজ করছে। এর মধ্যে গত বুধবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ১১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি এবং শুক্রবার সর্বনিম্ন ১০ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
নিম্নমুখী তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। রাস্তাঘাটগুলো একেবারেই ফাঁকা।
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে কুয়াশার চাদরে ডেকে যায় পুরো জেলা, যার স্থায়িত্ব থাকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত। দুপুরের পর সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রা নেই বললেই চলে।
এদিকে তীব্র শীতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ। তাদের আয়-উপার্জনে রীতিমতো ভাটা পড়েছে।
দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান জানান, নিম্নমুখী তাপমাত্রা আরও ২-৩ দিন স্থায়ী থাকবে। এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়বে।