আগারগাঁওয়ের সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী

0
155
সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের উদ্বোধন শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের সুধী সমাবেশে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার বিকেল ৪টায় পুরোনো বাণিজ্যমেলা মাঠে সুধী সমাবেশস্থলে পৌঁছান তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দেশের প্রথম উড়াল মহাসড়ক তথা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর কাওলা প্রান্ত থেকে টোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠেন তিনি। প্রায় ১১ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপ পার হয়ে তিনি আগারগাঁওয়ের সুধী সমাবেশে অংশ নেন।

রোববার সকাল ৬টা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে যান চলাচল শুরু হবে। ‘সাপোর্ট টু এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’ প্রকল্পসহ সব মিলিয়ে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে উড়াল মহাসড়ক নির্মাণে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে থেকে রেললাইনের ওপর এবং পাশ দিয়ে বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, মালিবাগ, কমলাপুর হয়ে ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত। এতে গাড়ি ওঠানামায় থাকছে ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ৩১টি র‍্যাম্প। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশের দৈর্ঘ্য সাড়ে ১১ কিলোমিটার। এ অংশের ১৫টি র‍্যাম্পের ১৩টি খুলছে, যার দৈর্ঘ্য ১১ কিলোমিটার।

নির্মাণকারী কর্তৃপক্ষ সেতু বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার এবং র‍্যাম্পে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে যান চলতে পারবে। ফলে ১২ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পৌঁছাবে গাড়ি। বর্তমানে কর্মদিবসে একই পথে ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। যানজটের কবলে পড়লে লাগে কয়েক ঘণ্টা।

সেতু বিভাগ গণবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এক্সপ্রেসওয়েতে পথচারী এবং দুই ও তিন চাকার যান চলতে পারবে না। গাড়ি থামানো যাবে না। যাবে না গাড়ি থামিয়ে ছবি তোলাও। এক যুগের অপেক্ষা যানজটের শহর ঢাকার এক প্রান্ত থেকে বিনা বাধায় অপর প্রান্তে যেতে ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে চুক্তি হয়। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) তিন বছরে নির্মাণ সম্পন্নের পরিকল্পনা ছিল দেশের প্রথম উড়াল মহাসড়ক এবং পিপিপিরও এটি প্রথম প্রকল্প। তবে বেসরকারি বিনিয়োগকারী অর্থায়ন নিশ্চিত করতে না পারায়, জমি ও নকশা জটিলতায় বারবার পিছিয়েছে নির্মাণকাজ। এক্সপ্রেসওয়ের বাকি আট কিলোমিটারের নির্মাণ আগামী বছরের জুনের মধ্যে শেষ করার সরকারি ঘোষণা রয়েছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.