রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে ছয় সপ্তাহের আগাম অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বোর্ড গঠনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর বয়স নির্ধারণ করতে বলেছেন আদালত। বয়স নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রীকে সেফ কাস্টডিতে (নিরাপদ হেফাজত) রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার ওই মামলায় আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করা হলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আবেদনটি ফেরত দেন। অন্য বেঞ্চে মুশতাকের জামিন আবেদন দাখিল করা হলে বৃহস্পতিবার বিকেলে শুনানি হয়। এ সময় ষাটোর্ধ মুশতাক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত এ সময় ভুক্তভোগী ছাত্রীরও বক্তব্য শোনেন। তিনি প্রাপ্তবয়স্ক এবং স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন বলে আদালতকে জানান।
আদালত বলেন, আইডিয়ালের ছাত্রীর বয়স নিয়ে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। বয়স নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত ভিকটিম ছাত্রী নারী ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধীনে সেইফ হোমে (নিরাপদ হেফাজতে) থাকবে।
আদালতে মুশতাকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা ও সোহরাব হোসেন। বাদীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আবুল হাশেম।
প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে গত ১ আগস্ট ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম নালিশি মামলা করেন। মামলায় মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়। আর এতে সহযোগী হিসেবে কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে আসামি করা হয়।