আগামী সপ্তাহে পরীক্ষামূলকভাবে বিশেষ ট্রেন চালানো হবে

মাওয়া-ভাঙ্গা রেলপথ

0
141
ট্রেন

প্রকল্পটি ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে জানিয়ে আফজাল বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। রেল–সংযোগ নির্মাণের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।’

ফাস্টট্র্যাক প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়ে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৭৯ লাখ টাকায় ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন দিয়ে যশোরের সঙ্গে রাজধানীর সংযোগ স্থাপনের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। প্রকল্পের বিবরণ অনুযায়ী, এটি বাস্তবায়নে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ দেবে। চীন সরকার মনোনীত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) ব্যবস্থায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পটি শেষ হলে দেশের মধ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার রেলযোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হবে। এ ছাড়া পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল জেলার নতুন এলাকায় রেলযোগাযোগব্যবস্থা উন্নত হবে।

প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা-যশোর-খুলনার মধ্যে ২১২ দশমিক শূন্য ৫ কিলোমিটার সংক্ষিপ্ত রুটসহ উন্নত পরিচালন সুবিধার বিকল্প রেলপথ সংযোগ স্থাপিত হবে। এটি বাংলাদেশে ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আরেকটি সাব-রুট স্থাপন করবে। এটি জাতীয়, আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক মালবাহী ও বিজি কনটেইনার ট্রেন পরিষেবা চালু করবে। এই রুট কনটেইনার পরিবহনের ক্ষেত্রে গতি ও লোড সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হবে।

সরকার ২০১৬ সালের মার্চে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের অনুমোদন দেয়। এটি একটি ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.