প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জরিপে অংশ নেওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৭০ শতাংশ জানিয়েছে, চলতি বছর তারা তাদের পরিকল্পনার চেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছে। সব মিলিয়ে কোম্পানিগুলো এ বছর বেতন–ভাতা বাবদ ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেশি অর্থ খরচ করেছে। কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, আগামী বছর রেকর্ড বেতন বৃদ্ধির অর্থায়নের জন্য তারা নানা ধরনের বিকল্প উপায় খুঁজছে। জরিপে অংশ নেওয়া ২১ শতাংশ নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান বলেছে, আগামী বছর তারা তাদের পুরস্কারের বিষয়টি এমনভাবে পুনর্মূল্যায়ন করবে, যাতে তা কর্মীদের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। ১৭ শতাংশ নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান রেকর্ড বেতন বৃদ্ধির অর্থসংস্থানে পণ্যের দাম বাড়ানোর কথা বলেছে। আর ১২ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বলেছে, জনবল কাঠামো পুনর্গঠন ও কর্মী কমানোর কথা।
আগামী বছর যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো রেকর্ড বেতন বৃদ্ধি করলেও সব কর্মীর বেতন যে সমভাবে বাড়বে, তা নয়। সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি অনেক কারণের ওপর নির্ভর করবে। অনেক ক্ষেত্রে এটি নির্ভর করবে কর্মীর পারফরম্যান্স বা কর্মদক্ষতার ওপর। পাশাপাশি বাজার বাস্তবতায় অন্য কোম্পানিগুলো কোন ধরনের কর্মীকে কত বেতন দিচ্ছে, সেটিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি গার্টনারের মানবসম্পদ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্যারোলিনা ভ্যালেন্সিয়া বলেছেন, কোনো কোনো কর্মীর বেতন–ভাতা আগামী বছর অস্বাভাবিকভাবে বাড়বে। বিশেষ করে যেসব পদে কর্মী পাওয়া বা নিয়োগ করা খুব কঠিন, সেসব পদে বেতন–ভাতা বেশি বাড়বে।