আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হবে: প্রধানমন্ত্রী

0
150
যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিএনপি-জামায়াতকে ভোটচোর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি-জামায়াতকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রয়োজনে সব সময় জনগণের পাশে থাকায় আগামী সাধারণ নির্বাচনে তাঁর দল আওয়ামী লীগ বিজয়ী হবে।

গতকাল রোববার (স্থানীয় সময়) লন্ডন ম্যারিয়ট হোটেলে যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশবাসীর উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত) বাংলাদেশকে ধ্বংস করবে। তাই সতর্ক থাকুন, যাতে বিএনপি-জামায়াত চক্র আবার ক্ষমতায় না আসে।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, জনগণ আমাদের তাদের সেবা করার সুযোগ দেবে। সকলকে (নেতা-কর্মী) আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করতে হবে। কারণ, নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হব।’

দেশের জনগণ বিএনপি-জামায়াতের ওপর আস্থা রাখবে বলে মনে করেন না শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তারা (বিএনপি-জামায়াত) দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এভাবে দেশকে ধ্বংস করেছে। জনগণ কীভাবে তাদের প্রতি আস্থা রাখবে?

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জনগণ জেনে গেছে যে তারা (বিএনপি-জামায়াত) চোর, দুর্নীতিবাজ, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও লুটেরা। তারা খুনিদের পৃষ্ঠপোষক। বিএনপি-জামায়াত জোট অর্থ আত্মসাৎ করে দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে। তারেক রহমানকে তাঁর দুর্নীতির দায়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে কোকোর পাচার করা প্রায় ৪০ কোটি টাকা সরকার দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারেক জিয়া ভোটচোর ছিলেন, তাঁর মা ভোটচোর। আমাদের ভোটচোর বলার সাহস হয় কী করে?’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসেনি। আওয়ামী লীগ সব সময় দেশ ও দেশের মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ কখনো ক্ষমতা দখল বা চুরি করে ক্ষমতায় আসেনি।

বিএনপি নেতাদের কাছে শেখ হাসিনা জানতে চান, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কয়টি দল অংশ নিয়েছিল, কতটি ভোট পড়েছিল?

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, দেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তাঁরা জনগণকে সচেতন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কারও কিছু বলার নেই। সেই নির্বাচনের ফলাফল কী? বিএনপির ২০-দলীয় জোট কতটি আসন পেয়েছিল? ২০-দলীয় জোট নির্বাচনে ২৯টি আসন পায়। পরে উপনির্বাচনে একটিসহ মোট ৩০টি আসন জিতেছিল তারা। আর বাকি আসন ছিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের। জনগণের কাছে তাদের অবস্থান কোথায় যে তারা এত লাফালাফি করে?

প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ। তাঁরা ‘ডেলটা ২১০০’ পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। দেশে আর কোনো গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষ থাকবে না। আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বাংলাদেশের কোনো মানুষ অন্নহীন থাকবে না।

শেখ হাসিনা গত ১৪ বছরে তাঁর সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.