ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সার্ভারত্রুটির কারণে বাংলাদেশ ও ভারতের যাত্রী পারাপার বন্ধ আছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। প্রচণ্ড গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই দেশের যাত্রীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেয়। ইমিগ্রেশনে আটকা পড়েছেন অন্তত ৫০০ যাত্রী।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন আখাউড়া ইমিগ্রেশন দিয়ে গড়ে এক থেকে দেড় হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। আজ সকালে সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন যাত্রী ভারতে যান। এর পরপরই ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সার্ভারে ত্রুটি দেখা দেয়। এর ফলে ভারতে যেতে ইচ্ছুক যাত্রীরা প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারছেন না। বেলা যত যাচ্ছে, যাত্রীদের জটলা বাড়ছে।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের ব্যবসায়ী আসাদ গতকাল বুধবার আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতের আগরতলায় যান। আজ সকাল ১০টার দিকে আগরতলা ইমিগ্রেশনের কাজ সম্পন্ন করে আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টে আসেন। কিন্তু সার্ভারত্রুটির কারণে তিনি ইমিগ্রেশন এলাকায় আটকা পড়েছেন।
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোর্শেদ আলম বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৫-৬ জন যাত্রীর কাজ করতে পেরেছি। এর পর থেকে সার্ভারত্রুটির কারণে দুই দেশের যাত্রীদের পারাপার বন্ধ আছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে সভা করছে। কারিগরি দল কাজ করছে।’
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে কথা হলে আসাদ বলেন, ‘ঢাকায় জরুরি ব্যবসার কাজ আছে। দ্রুত ঢাকায় যেতে হবে। কিন্তু সার্ভারত্রুটির কারণে সকাল ১০টা থেকে অপেক্ষা করছি। কী করব! কবে সার্ভারের ঝামেলা শেষ হবে, কবে ঢাকায় যাব, বুঝতে পারছি না।’
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের বাসিন্দা সোহাগ মিয়া বলেন, অনেক যাত্রীই আগরতলা বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটে কলকাতা, চেন্নাই, মুম্বাইয়ে যাবেন। সার্ভারত্রুটির কারণে অনেকের ফ্লাইট ছুটে যাবে। এই ক্ষতিপূরণ কে দেবে?
ভারত থেকে আসা বাংলাদেশের যাত্রী সুবর্ণা সরকার বলেন, ‘চেন্নাই থেকে অস্ত্রোপচার করে দেশে ফিরেছি। এখানে আটকা পড়েছি। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড গরমে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছি।’
আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ পরিদর্শক হাসান আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, সার্ভারত্রুটির কারণে আগারতলা থেকে বাংলাদেশে আসা এবং ভারতে যেতে ইচ্ছুক যাত্রীদের পারাপার বন্ধ আছে। ইমিগ্রেশন এলাকায় অন্তত ৫০০ যাত্রী আটকা পড়েছেন। কখন সার্ভার ঠিক হবে, তা বলা মুশকিল।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ম্যানুয়ালি কাজ করে যাত্রীদের পারাপার করা যায় কি না, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।’