আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়তে ইশরাকের সাথে একাত্মতা প্রকাশ নাহিদ-সারজিসের

0
4
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন মাঝখানে

দেশে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী রাজনীতি পুনর্বাসন করতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন। এজন্য দল-মত-ধর্ম-নির্বিশেষে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা যুদ্ধ করবে, তাদের সঙ্গে অগ্রিম একাত্মতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি একাত্মতা প্রকাশ করেন।

ফেসবুক স্ট্যাটাসে ইশরাক হোসেন লেখেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐকমত্য সুস্পষ্ট হওয়া উচিত। গণতান্ত্রিক দেশে ফ্যাসিবাদ রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। যেই মতাদর্শ অন্যের অধিকারে বিশ্বাস করে না তাদের আবার কীসের অধিকার? আমরা আওয়ামী লীগকে ফ্যাসিবাদ বলব, আবার তাদের প্রতি নমনীয় হবো বা রাজনীতিতে পুনর্বাসন করতে চাইবো তা চলবে না। কিঞ্চিৎ সুযোগ পেলে ফ্যাসিবাদ কী করতে পারে তা গত কয়েক দিনে নিশ্চয়ই স্পষ্ট হয়েছে। এরা স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করবে না। তাই দল-মত-ধর্ম-নির্বিশেষে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা যেখানে যুদ্ধ করবে তাদের সাথে অগ্রিম একাত্মতা প্রকাশ করছি।

ইশরাক হোসেনের ফেসবুক স্ট্যাটাস।

বিএনপির এ নেতার মন্তব্যের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।

ইশরাক হোসেনের স্ট্যাটাস নিজের ওয়ালে শেয়ার করে নাহিদ ইসলাম লিখেছেন, এটা প্রজন্মের লড়াই। নতুন বাংলাদেশ মানে নতুন রাজনীতি ও নতুন বন্দোবস্ত। ঐক্যবদ্ধ, প্রতিরোধ ও পুনর্গঠন।

একইভাবে ইশরাক হোসেনের সঙ্গে একমত হয়েছেন সারজিস আলমও। তিনিও লেখাটি শেয়ার করেছেন নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে।

শেয়ার দিয়ে সারজিস লেখেন, ব্যক্তিস্বার্থ, গোষ্ঠীস্বার্থকে একপাশে রেখে দেশের মানুষের প্রশ্নে, দেশের প্রশ্নে যারা ঐকক্যবদ্ধ থাকবে তাদের সাথে আমরা সবসময় একাত্মতা পোষণ করব। আমরা এই অভ্যুত্থানের স্পিরিটের সঙ্গে একই সূত্রে গাঁথা ভাই, আমরাই আগামীর প্রজন্ম ৷ এই মানসিকতা আমাদের সব সময় ছিল, আছে এবং থাকবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.