গাজার রাফায় অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) ইসরায়েলকে নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করে হামলা বাড়িয়েছে দখলদাররা। শুক্রবার রায় ঘোষণার পর শনিবারও রাফায় হামলা অব্যাহত রাখে তারা। গাজার দক্ষিণের পাশাপাশি উত্তরেও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বর্বর বাহিনী। শুক্রবার উত্তর গাজার আস-সাফতাউইপাড়ায় স্কুলে পৃথক হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। জাবালিয়া শিবিরেও ভয়াবহ হামলা হয়েছে। অন্যান্য স্থানেও হামলা হচ্ছে। খবর আলজাজিরার।
দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার শুনানিতে জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের ১৫ বিচারকের একটি প্যানেল হামলা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, রাফা সীমান্ত ক্রসিং ত্রাণ প্রবেশের জন্য খুলে দেওয়া, গাজায় তদন্তকারীদের প্রবেশ এবং ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনকে গাজায় ঢোকার অনুমতি দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন আইসিজে।
তবে এ রায় প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল বলেছেন, আইসিজের আদেশ মানা বাধ্যতামূলক। তিনি ইসরায়েলকে রায় কার্যকর করার আহ্বান জানান। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও বলেছেন, আইসিজের রায় মানার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
আইসিজের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে হামাস। কুয়েত, ওমানসহ একাধিক দেশও রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।
এদিকে, তিন সপ্তাহ ধরে রাফা ক্রসিং দিয়ে ত্রাণসামগ্রী গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এতে গাজায় ছড়িয়ে পড়েছে চরম ক্ষুধা। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের মধ্যে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ কারেম আবু সালেম (কেরেম শালোম) ক্রসিংয়ের মাধ্যমে জাতিসংঘের সাহায্যের অনুমতি দিতে সম্মত হয়েছে মিসর।
হোয়াইট হাউস জানায়, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ফোনালাপের পর এমন সিদ্ধান্ত নেয় কায়রো। এদিকে, রাফা ক্রসিংয়ের মিসর প্রান্তে গাজাবাসীর জন্য পাঠানো ত্রাণ তীব্র রোদের মধ্যে ট্রাকে পড়ে থাকতে থাকতে পচতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা।