অস্ত্রের বাজার বাড়াতে পরিবর্তন আসছে মার্কিন নীতিতে

0
10

সমরাস্ত্রের বাজার বাড়াতে কয়েক দশকের পুরোনো নীতিতে পরিবর্তন আনতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্রের বিক্রি নিয়ন্ত্রণে ১৯৮৭ সালে ৩৫ দেশের মধ্যে হয়েছিলো এমটিসিআর নামের অনানুষ্ঠানিক সমঝোতা। এবার সৌদি আরব ও পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর কাছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন ও সমরাস্ত্র বিক্রির জন্য নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নীতি পরিবর্তন হলে সৌদি আরবের কাছে শতাধিক রিপার ড্রোন বিক্রি করতে পারে ওয়াশিংটন।

এমকিউ-নাইন রিপার— গোয়েন্দাগিরি, নজরদারি, টার্গেট শনাক্তকরণ কিংবা আক্রমণ, যেকোনো সামরিক অভিযান পরিচালনায় অত্যাধুনিক এই মার্কিন ড্রোনের জুড়ি মেলা ভার।

মূলত, ২০ মিটার দৈর্ঘের বিশাল ডানা নিয়ে ঘণ্টায় প্রায় ৪৮০ কিমি গতিতে ছুঁটতে সক্ষম এই চালকবিহীন আকাশযান। নজরদারির কাজে আকাশে থাকতে পারে একটানা প্রায় ৩০ ঘণ্টা। হেলফায়ার মিসাইল, পেভওয়ে ও লেজার গাইডেড বোমার মতো আধুনিক সমরাস্ত্র সমেত একটানা উড়ান ক্ষমতা ২৩ ঘন্টা। নির্ভুলভাবে হামলা চালাতে সক্ষম সর্বোচ্চ ১ হাজার ৮৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে।

এতসব আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্য দেখে অনেক দেশই কিনতে আগ্রহী মার্কিন এই ড্রোন। গেল মে মাসেই, ট্রাম্পের সৌদি আরব সফরে শতাধিক রিপার ড্রোন কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে রিয়াদ। ধারণা করা হচ্ছে- প্রায় ১৪২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সমরাস্ত্র দেশটিতে বিক্রি করতে পারতে ওয়াশিংটন। সৌদি ছাড়াও মার্কিন এই সামরিক আকাশযান কিনতে আগ্রহী ইউরোপ ও প্যাসিফিক অঞ্চলের কয়েকটি দেশ।

কিন্তু ড্রোনসহ অত্যাধুনিক এসব সমরাস্ত্র বিক্রিতে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে কয়েক দশকের পুরোনো একটি সমঝোতা। ১৯৮৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের ৩৫টি দেশ মিসাইল টেকনোলজি কন্ট্রোল রিজিম বা এমটিসিআর সমঝোতায় সই করে। সে অনুযায়ী, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন কিংবা এ জাতীয় মারণাস্ত্র পারমানবিক শক্তিধর দেশ ব্যাতীত অন্য দেশগুলোর কাছে বিক্রি করতে পারবে না চুক্তিবদ্ধ দেশগুলো।

পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, পুরোনো এই সমঝোতায় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন। নতুন নীততে আন্তর্জাতিক চাহিদা অনুযায়ী এসব সমরাস্ত্র বিক্রি করবে দেশটি। যা তৈরি করা হবে মার্কিন সমরাস্ত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোতেই।

বর্তমানে বৈশ্বিক অস্ত্র রফতানিতে মার্কিন ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক ও চীন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.