মেলবোর্ন টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪৫.২ ওভারে অলআউট হয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ঘরের মাঠে অ্যাশেজে এর চেয়ে কম ওভারে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেছে মাত্র দুবার। সে দুবারও এই মেলবোর্নে, একটি ১৯০২ সালে অন্যটি ২০১০।
স্টিভ স্মিথের দল তুলতে পেরেছে মাত্র ১৫২ রান। মাত্র বলাটায় কিছুটা ঝুঁকি আছে! মেলবোর্নের এই ঘাসের উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদেরও ইংল্যান্ডের কঠিন পরীক্ষাই নেওয়ার কথা। যেমনটা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের নিয়েছেন জশ টাং।
ইংলিশ এই পেসার ৪৫ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। আউট করেছেন জ্যাক ওয়েদারাল্ড, মারনাস লাবুশেন, স্টিভ স্মিথ, মাইকেল নেসার ও স্কট বোল্যান্ডকে। স্মিথকে অবশ্য তিনি সব সময়ই আউট করেন। মানে এখন পর্যন্ত স্মিথের বিপক্ষে পেশাদার ক্রিকেটে পাঁচ ইনিংস বোলিং করে তাঁকে পাঁচবারই আউট করেছেন। মেলবোর্ন টেস্টে ১৯৯৮ সালের পর এই প্রথম কোনো ইংলিশ বোলার এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন।
আজ ইনিংসের শুরু থেকেই অস্ট্রেলিয়াকে চাপে রাখেন ইংলিশ পেসাররা। দলীয় ২৭ রানে আউট হন ট্রাভিস হেড (১২)। তাঁকে ফেরান ইংলিশ পেসার গাস অ্যাটকিনসন। এরপর দলীয় ৩১ রানে ওয়েদারাল্ড ও ৩৪ রানে লাবুশেনকে আউট করেন টাং।

আজ ৬ রানে আউট হওয়া লাবুশেন টেস্টে সর্বশেষ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ৩৭ ইনিংস আগে। স্মিথও (৯) উইকেটে বেশি সময় থাকতে পারেননি। ২০০০ সালের পর ঘরের মাঠে আজ দ্বিতীয়বার লাঞ্চের আগে ৪ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অন্যটি হোবার্টে, ২০১৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সেবার ৬ উইকেটে ৪৩ রানে লাঞ্চে যায় অস্ট্রেলিয়া।
ওপেনার থেকে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হয়ে যাওয়া উসমান খাজার ব্যাট থেকে এসেছে ২৯ রান। লাঞ্চের পর তাঁকে আউট করেন অ্যাটকিনসন। ২০২৩-২৪ মৌসুম শুরুর পর থেকে ডানহাতি পেসারদের করা রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বলে এ নিয়ে ২০ বার আউট হলেন খাজা। আজ অবশ্য তিনি একটা কীর্তিও গড়েছেন।
২৯ রান করার পথে খাজা ছুঁয়েছেন টেস্টে আট হাজার রানের মাইলফলক। সিরিজের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স ক্যারি আউট হয়েছেন ২০ রানে, বেন স্টোকসের বলে।
৯১ রানে ৬ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া সপ্তম উইকেটে ৪৫ রানের জুটি গড়ে। নেসার ও ক্যামেরন গ্রিন ভালোই খেলছিলেন। তবে ব্রাইডন কার্সের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হয়ে ১৭ রান করে ফেরেন গ্রিন। নেসার করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৩৫ রান।

















