মাত্র ১৮ বছর বয়সে নির্মমভাবে খুন হন বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় শিশুশিল্পী। মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে তিনজন ব্যক্তি মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তাঁকে। ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৮৯ সালে। নিহত এই তরুণ অভিনেতার নাম ইন্দ্রজিৎ সিং, যিনি ‘মাস্টার লাড্ডু’ নামে পরিচিত ছিলেন।
‘মিস্টার নাটবরলাল’-এর খুদে তারকা
১৯৭৯ সালের হিট ছবি ‘মিস্টার নাটবরলাল’-এ অমিতাভ বচ্চনের ছোটবেলার চরিত্রে অভিনয় করে সবার মন জয় করেছিলেন মাস্টার লাড্ডু। ছবিটিতে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রেখা, অজিত, কাদের খান ও আমজাদ খান। পরিচালনায় ছিলেন রাকেশ কুমার। শিশু বয়সে দুর্দান্ত অভিনয়ে তিনি এক ঝলকে নজর কাড়েন দর্শকের।
এরপর ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনী, জিতেন্দ্র, সঞ্জয় দত্ত, মাধুরী দীক্ষিত ও জয়া প্রদার মতো তারকাদের সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিয়েছিলেন। আশির দশকে শিশুশিল্পী হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছিলেন ইন্দ্রজিৎ।
নির্মম পরিণতি
১৯৮৯ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে ঘটে জীবনের করুণ সমাপ্তি। মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে এক ভয়ংকর রাতে তিনজন ব্যক্তি মিলে শ্বাসরোধে হত্যা করেন ইন্দ্রজিৎ সিংকে। আইএমডিবির তথ্য অনুযায়ী, হত্যাকাণ্ডের পেছনে ছিল একটি ফ্ল্যাট নিয়ে বিরোধ।
বলা হয়, ভাড়ার বিষয় নিয়ে ফ্ল্যাট মালিকদের সঙ্গে ইন্দ্রজিতের বাবার বিরোধ চলছিল।
বাড়ি ছাড়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল তাঁদের পরিবারকে, যদিও তাঁদের চুক্তির মেয়াদ তখনো শেষ হয়নি। তর্কাতর্কি গড়ায় মারামারিতে, একপর্যায়ে প্রাণ হারান ইন্দ্রজিৎ। আহমেদ বাবাজান শেখ নামে একজনকে এই ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছিল বলে জানা যায়।
থেমে গেল এক সম্ভাবনার পথ
ইন্দ্রজিৎ সিং ছিলেন প্রযোজক ভগবন্ত এস আনন্দের পুত্র, যিনি ‘ভারত কে সন্তান’ ছবির প্রযোজক হিসেবে পরিচিত। ছেলে যখন ধীরে ধীরে বলিউডে নিজের জায়গা করে নিচ্ছিলেন, তখনই সব থেমে গেল। ইন্দ্রজিৎ ছিলেন এক সম্ভাবনাময় প্রতিভা, যাঁর জীবন আচমকাই থেমে যায় নৃশংস এক ঘটনার ভেতর দিয়ে।
তথ্যসূত্র : ডিএনএ