পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে বড় বেশি নাক গলাচ্ছে—এমন একটা অভিযোগ দীর্ঘদিন থেকেই শোনা যাচ্ছে। নির্বাচন আসন্ন, সে ঘটনা ঘিরে বাংলাদেশের ব্যাপারে বিদেশিদের এই আগ্রহ প্রবলতর হয়েছে। সঙ্গে বাড়ছে বিদেশিদের ব্যাপারে আমাদের বিরাগও।
কিছুদিন আগে ঢাকার এক উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী হিরো আলমের ওপর শারীরিক আক্রমণ হয়েছে, সে ঘটনার নিন্দা করে ঢাকায় অবস্থানরত ১২টি দেশের কূটনীতিকেরা সমালোচনামূলক বিবৃতি দেওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের ডেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, এটা ভিয়েনা কনভেনশনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।
টিভির টক শো ও সভা-সেমিনারে বুদ্ধিজীবীরাও এই সমালোচনায় যোগ দিয়েছেন। অনেকের প্রশ্ন, বাংলাদেশের ব্যাপারে সারা বিশ্বের এই আগ্রহ কেন? একজন সাবেক কূটনীতিক যুক্তি দেখিয়েছেন, এটি তাঁদের অর্থাৎ বৃহৎ শক্তিবর্গের, ভূরাজনৈতিক সমীকরণের অংশ। বাংলাদেশ দুর্বল, তার ব্যাপারে নাক গলানো সহজ।
কিন্তু মিত্র হিসেবে বিবেচিত অধিক ক্ষমতাধর দেশগুলোর ব্যাপারে তারা বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র একদমই উদাসীন। যেমন ধরুন, ইসরায়েলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করে আইন করা হয়েছে, ফলে সে দেশের গণতান্ত্রিক ভিত দুর্বল হয়েছে। কই, ইসরায়েলের ব্যাপারে তো যুক্তরাষ্ট্রের কোনো উচ্চবাচ্য নেই।
খুবই যুক্তিপূর্ণ কথা, যদি সে কথা সত্য হতো। বস্তুত ইসরায়েলের বিচারব্যবস্থার ওপর চলতি নেতানিয়াহু সরকারের পরিকল্পিত আক্রমণের ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সমালোচনা করা হয়েছে। একবার নয়, একাধিকবার বাইডেন নিজে নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও দুই সপ্তাহ আগে ইসরায়েলি আইন পরিষদে সে আইন পাস হলে হোয়াইট হাউস থেকে সেটিকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। মার্কিন কংগ্রেসের একাধিক সদস্যও একইভাবে তাঁদের সমালোচনা ব্যক্ত করেছেন।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র একে অপরের কৌশলগত মিত্র, তা সত্ত্বেও ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটদের একজন প্রভাবশালী সদস্য নেতানিয়াহু সরকারকে বর্ণবাদী হিসেবে অভিহিত করেন। এ জন্য অবশ্য তাঁকে সমালোচনার মুখে পড়ে সে কথা প্রত্যাহার করে নিতে হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নসিহত
যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে তথাকথিত গণতান্ত্রিক বিশ্বের অভিভাবক হিসেবে মনে করে, ফলে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রশ্নে বিভিন্ন দেশ লক্ষ্য করে নসিহত করা তার অভ্যাস। এই নসিহতের অংশ হিসেবে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট প্রতিবছর একটি মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে।
তাতে সবার কথা আছে, নিজের দেশের কথা নেই। মনে পড়ছে, কয়েক বছর আগে জাতিসংঘ থেকে একজন পর্যবেক্ষক যুক্তরাষ্ট্রের জেলব্যবস্থা পর্যবেক্ষণে জন্য আসার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। সে কথা শুনে একজন প্রভাবশীল সিনেটর রেগে কাঁই, কী, আমরা যেখানে বিশ্বের মানদণ্ড নির্ধারণ করি, সেখানে আমাদের ওপর নজরদারির চেষ্টা! বলা বাহুল্য, মার্কিন কর্তাব্যক্তিদের আপত্তির কারণে সে সফর বাস্তবায়িত হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্তাব্যক্তিরা যুক্তি দেখিয়ে থাকেন, অন্য দেশের ব্যাপারে নাক গলানোর জন্য নয়, বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সমুন্নত করার লক্ষ্যেই তাঁরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার লঙ্ঘন দেখলে আপত্তি প্রকাশ করে থাকেন। বাইডেন প্রশাসনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান ইসরায়েলের উদাহরণটি ব্যবহার করে বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য কোনো দেশকে “লেকচার” দেওয়া বা “ডিকটেট” করা নয়, নীতিগত প্রশ্নে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করা।
যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও ইসরায়েলের দক্ষিণপন্থী সরকার যে বিচারব্যবস্থার ক্ষমতা সংকোচনের উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে হোয়াইট হাউসের ক্ষমতা অপরিসীম নয়। হাঁটু ও শিরদাঁড়া শক্ত থাকলে তার ধমক উপেক্ষা করা সম্ভব। বাংলাদেশ ইসরায়েল নয়, নানাভাবে সে যুক্তরাষ্ট্রের মুখাপেক্ষী। কিছুদিন আগে নিজের আর্থিক অসচ্ছলতা কাটাতে তাকে আইএমএফের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিতে হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতি ছাড়া যে সে অর্থ পাওয়া সহজ হতো না, তা বলাই বাহুল্য।
নীতি না সুবিধাবাদ
মুখে যে কথাই বলা হোক, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান যতটা নীতিগত, তার চেয়ে অধিক ‘সুবিধাবাদী’। উদাহরণ হিসেবে সৌদি আরবের কথা ভাবুন।
নির্বাচনের আগে জো বাইডেন বলেছিলেন, সৌদি আরবের ক্রমাগত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে তিনি আপসহীন অবস্থান নেবেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর তাঁর গলার স্বর বদলে গেল। তেলের দাম কমানোর জন্য দেন-দরবারের লক্ষ্যে তিনি সৌদি রাজপুত্রকে বার কয়েক ফোন করে না পেয়ে জেদ্দায় এসে তাঁর সঙ্গে সলাপরামর্শ করে গেলেন।
গত সপ্তাহে পশ্চিম আফ্রিকার অতি ক্ষুদ্র দেশ নাইজারে সামরিক অভ্যুত্থান হয়েছে, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত কোনো নিষেধাজ্ঞামূলক ব্যবস্থা নেয়নি, বরং সে দেশের নতুন সামরিক নেতৃত্বের সঙ্গে সলাপরামর্শের উদ্যোগ নিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, দরিদ্র হলেও নাইজারে রয়েছে বিপুল পরিমাণ ইউরেনিয়াম। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটিও রয়েছে। এই অবস্থায় এমন কিছুই তারা করবে না, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তর সামরিক ও কৌশলগত স্বার্থ ব্যাহত হয়।
আন্তর্জাতিক আইন ও তার বাস্তবায়ন
আইনত অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো যাবে না, সে কথা ঠিক; কিন্তু কখনো কখনো মুখ বুঁজে থাকাও অসম্ভব। তা ছাড়া বিশ্বায়নের কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এখন একে অপরের সঙ্গে নানাভাবে জড়িয়ে গেছে। চীনে কোভিড ছড়ায়, তার ফল ভোগ করতে হয় বিশ্বের বাকি সব দেশকে।
সুদানে গৃহযুদ্ধ বাধে। তার ফলে যখন হাজার হাজার উদ্বাস্তু দেশ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়, তখন সে গৃহযুদ্ধ আর অভ্যন্তরীণ থাকে না। ধর্মীয় অনুশাসনের অজুহাতে আফগানিস্তানে যখন মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়, সে সিদ্ধান্ত যতই অভ্যন্তরীণ হোক, আমাদের ন্যায় ও নীতিবোধ তাতে আপত্তি জানায়।
অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর ব্যাপারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে ভিয়েনা চুক্তির কথা বলেছে, তার ৪১(১) ধারায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, দায়িত্ব পালনের সময় বিদেশি কূটনীতিকেরা এমন কিছুই করবেন না, যা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
চুক্তির অন্তর্গত এই ধারার উৎস জাতিসংঘ সনদ। সে সনদের ১৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সদস্যদেশ একক বা যৌথভাবে অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বা বহির্গত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। অন্য কথায়, এই প্রশ্নে আন্তর্জাতিক আইনের মোদ্দা চরিত্র নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। কিন্তু তার বাস্তব ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
গত ৭০ বছরে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রশ্নে বিপুল পরিমাণ আন্তর্জাতিক চুক্তি বা কনভেনশন গৃহীত হয়েছে, যার মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ দেশগুলো নিজে থেকেই তার অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আন্তর্জাতিক নজরদারি মেনে নিয়েছে। উদাহরণ হিসেবে শিশুর অধিকার বা নারীর প্রতি বৈষম্যবিরোধী চুক্তির কথা ভাবুন।
একইভাবে একাধিক শ্রম অধিকার চুক্তির কথা বলা যায়, যার মাধ্যমে শুধু শ্রমিকদের অধিকারের স্বীকৃতি মিলেছে তাই নয়, সে অধিকার কীভাবে পালিত হয় সে ব্যাপারে বহির্গত নজরদারিও মেনে নেওয়া হয়েছে। একে অভ্যন্তরীণ সার্বভৌমত্বের সংকোচন বলা যেতে পারে, কিন্তু এ কথাও ঠিক যে এর ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে নাগরিক অধিকারের স্বীকৃতি ও সম্প্রসারণ হয়েছে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস শ্রমিকদের ক্ষেত্রে যে এ কারণে অনেকগুলো সুফল মিলেছে, তা অস্বীকারের কোনো জো নেই।
আন্তর্জাতিক আইনের এই সম্প্রসারণের ফলে আরও একভাবে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের সংকোচন ঘটেছে। এখন এ কথা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত যে কোনো রাষ্ট্র তার নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষায় ব্যর্থ হলে তা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যৌথভাবে ব্যবস্থা নিতে পারে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান সরকারের হাতে বাঙালি গণহত্যা অথবা আজকের মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের কথা ভাবুন। এই দুই দেশই নিজ জনগণের ওপর হামলাকে ‘অভ্যন্তরীণ’ বলে সাফাই গেয়েছে। ধোপে টেকেনি।
নব্বইয়ের দশকে বলকান ও রুয়ান্ডায় সেসব দেশের সরকারের হাতেই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। তারাও ‘এসব অভ্যন্তরীণ বিষয়’—এই অজুহাত তুলে বৈদেশিক হস্তক্ষেপে আপত্তি জানিয়েছে।
কোনো দেশের সরকারের হাতে এ রকম ন্যায়হীন আচরণ ঠেকাতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী যে নতুন নীতিমালা প্রতিষ্ঠা করেছে, তার নাম ‘রেসপনসিবিলিটি টু প্রোটেক্ট’ বা ‘সুরক্ষার দায়বদ্ধতা’।
এই নীতিমালা অনুসারে নাগরিক অধিকার রক্ষায় প্রতিটি রাষ্ট্র এবং তার প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিটি সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কখনো যদি কোনো সরকার সে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ব্যর্থ হয়, তখন তা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে।
নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর নতুন যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কাঠামো গড়ে উঠেছে, তাতে আরও একভাবে কোনো কোনো দেশ নিজের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বৈদেশিক হস্তক্ষেপ নিজেরাই ডেকে আনে। এখানে জাতীয় নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের কথা বলা হচ্ছে।
জাতিসংঘ সনদ উদ্ধৃত করেই বলা যায়, কোনো সরকার ‘অভ্যন্তরীণ’—এই অজুহাতে নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। এই সনদের ২১(৩) ধারায় বলা আছে, যেকোনো সরকারের ক্ষমতার উৎস হলো তার জনগণের ইচ্ছা, উইল অব দ্য পিপল। ‘নির্ধারিত সময়ে “অর্থপূর্ণ”(জেনুইন) নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই এই ইচ্ছার প্রকাশ ঘটে।’ এই ‘অর্থপূর্ণ’ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতিসংঘ এই সেদিন পর্যন্ত বিভিন্ন দেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। প্রতিটি সরকারের সম্মতির ভিত্তিতেই এই পর্যবেক্ষকদের পাঠানো হয়ে থাকে।
প্রশ্ন উঠতেই পারে, আমার দেশে নির্বাচন, আর তা পর্যবেক্ষণ করে ভালো কি মন্দের সার্টিফিকেট বিদেশিরা কেন দেবে? আমরা নিজেরা সুচারুভাবে নির্বাচন পরিচালনায় সক্ষম হলে বিদেশি পর্যবেক্ষকের প্রয়োজন কেউ দেখে না; কিন্তু যখন সে পরিচালনার সক্ষমতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকদের ইতিবাচক সনদ সে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা শুধু দেশের বাইরে নয়, ভেতরেও প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে।
অনুমান করি, ঠিক সেই কারণেই বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান—এ দুই দলের পক্ষ থেকেই মার্কিন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক আসার কথা শোনা যাচ্ছে।
মোদ্দা কথা, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহির্গত হস্তক্ষেপ কাম্য নয়, কিন্তু কখনো কখনো সে হস্তক্ষেপ সুফল বয়ে আনতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় অন্য দেশগুলোর কঠোর অবস্থানের কারণে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের হাতে বিচারবহির্ভূত গুম-খুনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এ কথা বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃত্ব থেকেই স্বীকার করা হয়েছে। একে ভালো খবর না বলে উপায় নেই।
বিদেশি কূটনীতিকেরা আমাদের নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা নিয়ে না-হক হস্তক্ষেপ করছেন, কিন্তু তার ফলে যদি আগামী সাধারণ নির্বাচন স্বচ্ছ ও অধিক গ্রহণযোগ্য হয়, সেটাও যে একটি সুখবর হবে, তা–ইবা অস্বীকার করি কী করে?