‘অভিযান আইলে ঢাইকা দেই, গেলেই খুইলা দেই’

0
113
চিত্রনায়ক ফেরদৌস।

রাজধানীর বাজারগুলো যেন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এসব বাজারে অভিযানের পাশাপাশি করা হয় নিয়মিত মনিটরিংও। তবুও ব্যবসায়ীদের অনিয়মের লাগাম টানা দায়। আজ সোমবার রাজধানীর চকবাজারে ইফতারির বাজার মনিটরিং করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ সময় চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদও দোকানিদের সচেতন করেন। তবে মনিটরিং টিম চলে যাওয়া মাত্র পুরনো রূপে ফেরেন ব্যবসায়ীরা।

নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা কিছুদূর এগিয়ে যেতেই ঢেকে রাখা খাবারের ওপর থাকা কাগজ সরিয়ে বেচাকেনা করতে দেখা যায় এক দোকানিকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই দোকানি বলেন, অভিযান আইলে ঢাইকা দেই। আর অভিযান গেলেই খুইলা দেই। আমগোর হইলো খুললাম খাললাম অবস্থা।

তিনি আরও বলেন, আমারও মনে চায় ঢাইকা-ঢুইকা রাখি। কিন্তু ঢাইকা রাখলে কেউ কিনবার চায়না। আমি ঢাইকা রাখলে দেখি অনেকে সেটা আবার খুইল্যা রাখছে। তহনই তো আমার কাস্টমার চইল্যা যাই।

তবে ব্যতিক্রমও দেখা গেছে। কিছুটা সামনে এগিয়ে এক দোকানির হাতে-মাথায়-মুখে বেশ আটসাটভাবে মাস্ক-গ্লাভস পরে থাকতে দেখা যায়। তার ভাষ্য, আমি একবারে শুরু থেকেই অ্যাজ অলওয়েজ এইসব পইরা থাকি। তাতে আমার বেচাকেনা হোক বা না হোক। আমার সচেতনতা আগে ভাই।

এর আগে আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় চকবাজারের শাহী মসজিদ এলাকা থেকে ইফতার বাজার মনিটরিং শুরু করে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। এ সময় শুরু থেকেই নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ছিলেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফেরদৌস বলেন, আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য দরকার। সেই খাদ্য যদি ভেজালযুক্ত হয়, তাহলে মানুষ আরও তাড়াতাড়ি মারা যায়। অনাহারে মানুষ কম মরে, বরং ভেজাল খাবার খেয়ে মানুষ বেশি মারা যায়।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, চকবাজারের খাবারের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে আপনাদের খাদ্যের নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে। আমি আশা করি, সবাই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.