অবশেষে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ভেনামি চিংড়ি চাষের অনুমতি দিয়েছে সরকার। গত বুধবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ অনুমতি দিয়ে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। সেই সঙ্গে ভেনামি চিংড়ি চাষের জন্য ‘বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভিত্তিতে চিংড়ি চাষ নির্দেশিকা’ও অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) পরিচালক হুমায়ুন কবীর জানান, খুলনায় প্রায় দুই বছর ধরে পরীক্ষামূলকভাবে ভেনামি প্রজাতির চিংড়ি চাষ হচ্ছে। চিংড়ি চাষি ও রপ্তানিকারকরা দীর্ঘদিন ধরে এ চিংড়ির বাণিজ্যিক চাষের অনুমতি চেয়ে আসছিলেন। দীর্ঘদিনের দাবি বাস্তবায়িত হওয়ায় তিনি খুলনার চিংড়ি রপ্তানিকারকদের পক্ষ থেকে সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
চিংড়ি রপ্তানিকারকরা জানান, বিশ্বের ৬২টি দেশে ভেনামি চিংড়ি বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। এর মধ্যে এশিয়ার ১৫টি দেশ রয়েছে। বিশ্বে চিংড়ি বাণিজ্যের ৭৭ শতাংশ দখল করে আছে ভেনামি চিংড়ি। বাগদা চিংড়ির তুলনায় দাম কম হওয়ায় বিশ্ববাজারে এর চাহিদা বেশি। এশিয়ার চিংড়ি রপ্তানিকারক দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ভেনামি চিংড়ি চাষ নিষিদ্ধ ছিল।