লাফিয়ে বাড়তে থাকা ব্রয়লার মুরগির দামের দৌড় অবশেষে থেমেছে। দু’দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম কমেছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। একই সঙ্গে সোনালি জাতের মুরগির দামও কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। গতকাল শনিবার কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেট, হাতিরপুল কাঁচাবাজারে ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হয়েছে ২৩০ থেকে ২৪৫ টাকা। আর সোনালি জাতের মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকায়। চার-পাঁচ দিন আগেও ব্রয়লারের কেজি ২৬০ থেকে ২৭০ এবং সোনালি মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
মাস দুয়েক আগে ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, আর সোনালি মুরগি বিক্রি হয় ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। খাদ্যের দাম বেড়েছে– এমন ছুতায় ধাপে ধাপে বেড়ে এক পর্যায়ে রেকর্ড করেছিল মুরগির দাম।
অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজারে অভিযান জোরদার করে। ফার্মের মালিকদের ডেকে দাম বাড়ার ব্যাপারে ব্যাখ্যা তলব করা হয়। অন্যদিকে এফবিসিসিআই ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় দাম না কমালে ব্রয়লার ও গরুর মাংস আমদানির সুপারিশ করবে বলে জানায়। একই সুপারিশের কথা ভোক্তা অধিদপ্তরও বলেছিল। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ব্রয়লার উৎপাদনকারী চার বড় কোম্পানি ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে ফার্ম ফটকে প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা পাইকারি দামে বিক্রি করার ঘোষণা দেয়। এর পরদিন থেকে দাম কিছুটা নামতে থাকে।
এদিকে দাম নিয়ন্ত্রণে গতকাল শনিবার রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজারে অভিযান চালিয়েছে ভোক্তা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা দেখেছেন– নিউমার্কেট বাজারে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৪০ থেকে ২৪৫ টাকা এবং কাপ্তানবাজারে পাইকারিতে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২১০ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছে।
কারওয়ান বাজারের নরসিংদী ব্রয়লার হাউসের এক বিক্রয়কর্মী বলেন, পাইকারি পর্যায়ে দাম কমলে কয়েক দিনের মধ্যে খুচরা বাজারেও কমবে।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, শনিবার সারাদেশে ৫৬ বাজারে অভিযান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় ছিল সাতটি। পাশাপাশি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি দলও অভিযান চালিয়েছে। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় শনিবারে পাইকারি পর্যায়ে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকায় ব্রয়লারের কেজি বিক্রি হয়েছে– এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এ ধারা চলতে থাকলে সামনের দিনগুলোতে খুচরা বাজারে দাম আরও কমে যাবে।