মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া ফেরি রজনীগন্ধা আটদিনের মাথায় উদ্ধার করে নদীর তীরে আনা হলো।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) রাত ১১টায় ফেরিটিকে উদ্ধার করা হয়। ফেরিটিকে পাটুরিয়া ঘাটের কিছুটা পূর্বে সৌরবিদ্যুত প্যানেল প্রকল্প এলাকায় নদীর তীরে নোঙর করে রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া পানিতে তলিয়ে যাওয়া উদ্ধারের বাকি দুটি ট্রাকও উদ্ধার করা হয়েছে। গত আটদিনের অভিযানে ডুবে যাওয়া ফেরি, ফেরির সঙ্গে থাকা মালবাহী সব গাড়ি ও নিখোঁজ ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টারকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের আর কিছুই বাকি নেই বলে জানান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাহ মোহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাত ১২টার পর রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া প্রান্ত থেকে পাটুরিয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে ইউটিলিটি ফেরি রজনীগন্ধা। রাত দেড়টার দিকে ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ঘাটের অদূরে পদ্মা নদীতে আটকা পড়ে ফেরিটি। পরের দিন, ১৭ জুন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ফেরিটি ডুবে যায়। ফেরিতে থাকা ফেরির স্টাফ ও যানবাহনের চালক-সহযোগি মিলে ২১ জনের মধ্যে ২০ জনই নিরাপদে ফিরে আসতে পারলেও নিখোঁজ থাকেন ফেরিটির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ুন কবির। সোমবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ১২ কিলোমিটার ভাটিতে হরিরামপুর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় পদ্মা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।