অবশেষে কারামুক্ত হলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার

0
8
বাবুল আক্তার ও স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু
উচ্চ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় অবশেষে কারামুক্ত হয়েছেন সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার।
 
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কারাগারের ডেপুটি জেলার মো. ইব্রাহিম।
 
২০২১ সালের ১২ মে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় প্রধান আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হন বাবুল আক্তার। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি। দীর্ঘ সময়ে তিনি মামলাটিতে বেশ কয়েকবার জামিন আবেদন করলে আদালত নামঞ্জুর করেন। সবশেষ গত ২৭ নভেম্বর বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি আলী রেজার হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন।
 
এরপর রোববার (১ ডিসেম্বর) বাবুল আক্তারের জামিনের আদেশ বিচারিক আদালত অর্থাৎ তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে জমা দেওয়া হয়। ওইদিন বিকেলে জামিনের আদেশ কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ তারপরও কালক্ষেপণ করতে থাকে।
 
একপর্যায়ে খবর আসে বাবুল আক্তারের জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করেন তার শ্বশুর অর্থাৎ মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন। আজ (বুধবার) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালতে সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি হয়। এদিন আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক। মিতুর বাবার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান।
 
শুনানি শেষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির জানান, হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন চেম্বার আদালত। ফলে বাবুল আক্তারের মুক্তিতে আর আইনগত বাধা নেই।
 
বাবুল আক্তারের চট্টগ্রামের আইনজীবী অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, বাবুল আক্তারের মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা আগেও ছিল না। রোববার তাকেই জামিন দেওয়া যেত। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ অকারণে বিলম্ব করেছে। যেটি দণ্ডবিধি আইনের ৩৪২ ধারায় অপরাধ। আমরা এটি নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষকে আইনগত নোটিশ দিয়েছি। এখন বাবুল আক্তারের পরিবারের কেউ যদি চায়, সেক্ষেত্রে আমরা আদালতে কারা কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করব।
 
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন (৬ জুন) বাবুল আক্তার প্রথমে বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন।
 
তবে মামলাটিতে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে স্বামী বাবুল আক্তারেরই সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। ২০২১ সালের ১২ মে আগের মামলাটিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। একই দিন বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানায় দ্বিতীয় মামলাটি দায়ের করেন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন। ওইদিনই মামলাটিতে বাবুল আক্তারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করে পিবিআই। সেই থেকে কারাগারে রয়েছেন বাবুল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.