২০১৯-এ ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার ২’-এর মাধ্যমে বলিউডে পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী তারা সুতারিয়া। পরিবারের কেউ সিনেমায় না থাকলেও এ জগতে জায়গা করে নিতে ছোট থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন সুতারিয়া। শিখেছেন ধ্রুপদি, আধুনিক থেকে শুরু করে পাশ্চাত্য ধাঁচের নাচও।
২৩ বছরের তারার বলিউডে এখনও পায়ের তলার মাটি শক্ত না হলেও তাঁর বোল্ড লুকই তাঁকে সবার থেকে আলাদা করে রেখেছে। বলা যায়, এখন তারা বলিউডের অন্যতম চর্চিত মুখ। পার্সি পরিবার থেকে এসে বলিউডে ধীরে ধীরে নিজের জায়গা করে নিচ্ছেন তিনি।
গতকাল ডিজনি-হটস্টারে মুক্তি পেয়েছে তারা অভিনীত প্রথম ওয়েব সিনেমা ‘অপূর্ব’। এই সিনেমায় তারা অন্যান্য ছবির মতো মিষ্টি নায়িকা নন, বরং অ্যাকশন অবতারে দেখা গেছে। সিনেমায় তারা অভিনীত চরিত্রের নাম অপূর্ব, যে খুবই সাধারণ এক মেয়ে। কিন্তু ভাগ্য কীভাবে তাকে অসাধারণ করে তুলেছে, সেই গল্প নিয়েই এ সিনেমা। জীবনের একটি সাধারণ মুহূর্তে হঠাৎ খুব বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পতিত হলে কী ঘটে এবং অপূর্ব সেখান থেকে কীভাবে পরিত্রাণ পাবে– তা নিয়েই অপূর্বর গল্প।
`অপূর্ব’ ওয়েব সিরিজের একটি দৃশ্য
সিনেমাটি নিয়ে তারা বলছেন, ‘এটি একটি সাধারণ মেয়ের শক্তিশালী হয়ে ওঠার গল্প; যার অভ্যন্তরীণ শক্তি, বুদ্ধিমত্তা এবং সাহস এমন একটি যাত্রাকে রূপ দেয়, যা সেই চরিত্রকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। এটি আমার জন্য আজীবনের একটি উল্লেখযোগ্য চরিত্র হয়ে থাকবে। আমি অপূর্বর মধ্যে আমার রূপান্তর দেখার জন্য এবং দর্শকের এ সম্বন্ধে কেমন ফিডব্যাক হয়, তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন নিখিল নাগেশ ভাট। তিনি বলেন, ‘অপূর্ব ছবিতে এমন এক গল্পকে সামনে এনেছি, যা দেখে শিহরন জাগতে বাধ্য। আসলে নারীশক্তির ভিন্ন দিককে তুলে ধরা হয়েছে এ ছবিতে। ছবিতে তারার চরিত্রটি সেই নারীশক্তিকেই তুলে ধরে। তবে এটুকু বলতে পারি, এ ছবিতে তারা সবাইকে অবাক করে দেবে।’
ছবিতে তারা সুতারিয়া ছাড়াও অভিনয় করেছেন অভিষেক ব্যানার্জি, ধৈর্য কারওয়া, রাজপাল যাদবের মতো অভিনেতা। ভারতের সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘চম্বল’-এ সেট নির্মাণ করে সিনেমাটির দৃশ্য ধারণ হয়েছে।