অপু বিশ্বাসের সঙ্গে শাকিব খানের সম্পর্ক অনেক আগেই ভেঙে গেছে, এ খবর সবাই জানেন। তবে বুবলীর সঙ্গে সম্পর্কের ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত হতে পারছিলেন না।
আপনার কথাবার্তা শুনে এখন মনে হচ্ছে, বুবলীর সঙ্গেও কোনো ধরনের সম্পর্ক আপনার আর নেই—এমন প্রশ্নে শাকিব খান বলেন, ‘চলচ্চিত্র অঙ্গনে আমার অগ্রজ একজন জনপ্রিয় নায়ক, আমার প্রথম সংসারের সময়ই বলেছিলেন, আমাদের দেশে এ অঙ্গনের দুজনের মধ্যে সংসার করাটা বেশ ডিফিকাল্ট। তারপরও একটা কথা বলতে চাই, মানুষ সম্পর্ক করে সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখতে। সংসার ভাঙার জন্য কেউই সম্পর্ক করে না। আমিও তেমনটাই ভেবে করেছি। কিন্তু সম্পর্কটা করতে গিয়ে একটা সময় দেখলাম, তা আর হেলদি জায়গায় নেই। চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সব চেষ্টা ব্যর্থ হলো। তারপর মনে হলো, আনহেলদি কোনো সম্পর্ক নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। এমনকি আমার মনে হয়, মা-বাবার আনহেলদি সম্পর্কের মাঝখানে সন্তান বেড়ে ওঠার চেয়ে আলাদা করে বেড়ে ওঠাটাই তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো।’
এদিকে শোনা যাচ্ছে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে আপনার এখন ভালো যোগাযোগ। আপনার বাসায়ও তাঁর নিয়মিত যাতায়াত। তার মানে কি আবার আপনারা এক হচ্ছেন—এমন প্রশ্নে শাকিব খান জানান, এমন সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
তিনি বললেন, ‘আব্রাম খান জয়ের বাবা যেমন আমি শাকিব খান, তেমনি মা হচ্ছেন অপু বিশ্বাস। বাবা হিসেবে সন্তানের সঙ্গে আমার দেখা হয়। জয় মাঝেমধ্যে আমার সঙ্গে থাকে। ওর দাদা-দাদির সঙ্গে থাকে। জয় যেহেতু ছোট, একা আসতে পারে না, তাই জয়কে আনার সুবাদে তার মা আসে। কিন্তু আমাদের মধ্যে সন্তানের বিষয়ের বাইরে আর কোনো কথা হয় না। জয়ের স্কুলেও যাওয়া হয় মাঝেমধ্যে, সেখানেও দেখা হয় আমাদের।’
কথায় কথায় শাকিব খান তাঁর ছোট ছেলে শেহজাদ খান বীর প্রসঙ্গেও কথা বললেন। তিনি বলেন, ‘শেহজাদ খান বীরের সঙ্গেও আমার দেখা হবে। সে আমার সঙ্গে থাকবে। এখন সে অনেক ছোট, তাই আলাদা করে আমার কাছে রাখতে পারি না, তবে শিগগিরই তারও আসা-যাওয়া হবে আমার বাড়িতে। দাদা-দাদি, ফুফা-ফুফুর আদর পাবে। শেহজাদ যখন স্কুলে যাওয়া শুরু করবে, তখন তার মায়ের সঙ্গেও আমার দেখা হবে—এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে একটা কথা নিশ্চিত করে বলতে চাই, অপু বিশ্বাস ও বুবলী দুজনেই এখন আমার কাছে অতীত। তাদের সঙ্গে কোনো অবস্থায় আমার সম্পর্ক জোড়া লাগার সম্ভাবনা নেই। অতীত মানে তারা অতীতই। তারা আমার দুই সন্তানের মা, সন্তানের মা হিসেবে তাদের প্রতি আমার যে সম্মান ও সম্পর্কটা থাকা দরকার, স্রেফ সেটুকুই থাকবে।’