অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ ও যত্রতত্র পর্যটনের ফলে পাহাড়ের পরিবেশ-প্রতিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এতে নষ্ট হচ্ছে ঐতিহ্যও। নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়া যত্রতত্র পর্যটকদের ভ্রমণ থেকে বিরত থাকা উচিত।
আজ রোববার রাজধানীর এফডিসি মিলনায়তনে ‘পার্বত্য বিতর্ক উৎসব-২০২৩’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। ব্র্যাক ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির যৌথ আয়োজনে এবং গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সহযোগিতায় বিতর্ক উৎসবের আয়োজন করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক চেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ও উন্নয়ন জোরদার হয়েছে। বিশেষত শান্তিচুক্তির কারণে পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসেছে। উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় সম্পৃক্ত হয়েছে পাহাড়ি জনপদের মানুষ।
আদিবাসীদের সুরক্ষা ও তাদের ঐতিহ্য সংরক্ষণে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে ৪৯টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি বিকাশের লক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তিন পার্বত্য জেলায় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে।
ব্র্যাক এডুকেশন প্রোগ্রামের পরিচালক সাফি রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। বক্তব্য দেন ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির প্রধান প্রফুল্ল চন্দ্র বর্মণ।
রাঙামাটি ও বান্দরবানের সাত উপজেলার ৫০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ‘সামাজিক সচেতনতাই পারে বাল্যবিবাহ রোধ করতে’ শীর্ষক উদ্বোধনী বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বান্দরবানের সুয়ালক উচ্চ বিদ্যালয়কে পরাজিত করে রাঙামাটির মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয় বিজয়ী হয়।
প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বক্তা হন পক্ষ দলের দময়ন্তী চাকমা। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক ড. শাকিলা জেসমিন, সাংবাদিক পার্থ সঞ্জয় ও সাংবাদিক ফারহানা ন্যান্সি।
আগামী ৩১ জানুয়ারি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি পার্বত্য বিতর্ক উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন।