নিহতের পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রীতি রানীর মেয়ে তমা অন্তঃসত্ত্বা। গতকাল শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় মেয়ের বাসায় আসেন প্রীতি। আজ শনিবার দুপুরে মেয়েকে নিয়ে প্রীতি স্থানীয় একটি ক্লিনিকে যাচ্ছিলেন। যখন তাঁরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী লেগুনা প্রীতি রানীকে ধাক্কা দেয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মফিজুল আলম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
তমা বলেন, ‘আমার চোখের সামনে মাকে লেগুনার চালক ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যান। আমার মায়ের এমন মৃত্যু কোনোভাবে মেনে নিতে পারছি না। আমি লেগুনাচালকের ফাঁসি চাই।’ তমা আরও বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকায় আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু এই যাওয়াই আমার জীবনের কাল হয়ে গেল। মাকে চিরদিনের মতো হারিয়ে ফেললাম।’
যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল হক বলেন, ‘আমরা চালককে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। তবে লেগুনাটি জব্দ করেছি। যত দ্রুত সম্ভব চালককে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করব।’