নিপা আহমেদ: ছবিটা কিন্তু প্রথমে ওটিটিতে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তির সময়ই সবাই জানতে পারে, ছবিটি সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে। তাদের ভাষ্যে ‘প্রদর্শনের অযোগ্য’। তখন মানুষের কাছে মনে হয়েছে, ছবিতে এমন কিছু হয়তো আছে, যেটা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না। অনেকে আমাকে ফোন করে বলেছে, তোমার ছবি নিষিদ্ধ হলো কেন? অনেকেই ভেবেছে, আগের মতো কাটপিস জুড়ে দিয়েছে কি না। সবাইকে বলতাম, ওটিটিতে দেখে নাও। আসলে কয়েকটা সংলাপের কারণে ছবিটি আটকে ছিল। আমি পরিবার নিয়ে ছবিটি দেখেছি। মুক্তির পর তারিক আনাম স্যার বলেছেন, ভালো করেছি। ছবি দেখার পর অনেক দর্শক বলেছেন, ‘আপনাকে দেখে নতুন মনে হয়নি।’
নিপা আহমেদ: তিনি একবারের জন্যও আমাকে বুঝতে দেননি, বয়সের পার্থক্য। এত হাস্যোজ্জ্বল একজন মানুষ! সবাই অভিনয় শিখতে তাঁর কাছে যায়। আমি কিনা শুটিংয়ে তাঁকেই সহকর্মী হিসেবে পেয়েছি। তাঁর সঙ্গে গানের একটা দৃশ্য ছিল, তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন। বয়সের পার্থক্য অভিনয় দিয়ে কীভাবে উতরানো যায়, সেই কৌশলও শিখেছি।

নিপা আহমেদ: কষ্ট ছিল, তবে হতাশ হইনি। আমি খুবই ভাগ্যবান—এই ছবির শুটিং হয় ‘বাহুবলী’র সেটে। কোনো দিন ভাবিনি, আড়াই কোটি বাজেটের ছবির নায়িকা হব, ভাবিনি এত বড় মাপের সহশিল্পী পাব। কষ্ট ছিল, এত ভালো একটা ছবি কেন মুক্তি পাচ্ছে না। আমাদের পরিচালক বা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য ছিল, এই ছবি থেকে যদি ১ বা ২ মিনিট যদি ফেলে দেই, তা হলে গল্পটা হারিয়ে যাবে।

নিপা আহমেদ: একটা ওয়েব সিরিজের শুটিং শেষ করেছি। এ ছাড়া ‘খোদা হাফেজ’ ছবিটি ঈদে আসবে। ‘মেকআপ’ মুক্তির পর কয়েকজন পরিচালকের সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছে। আমার ইচ্ছা, সংখ্যায় কম হলেও মানসম্পন্ন কাজ করা। তবে এখনো তো ইন্ডাস্ট্রিতে কাজও কম হচ্ছে।