অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কিনতে ভোগান্তি

0
145
ভোগান্তির কথা বলে ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করেন একজন টিকিটপ্রত্যাশী

ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে অনলাইনে রেলের টিকিট কাটতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। সার্ভারের জটিলতার কারণে টিকিট থাকলেও যাত্রীরা কিনতে পারছেন না। ভোগান্তির শিকার অধিকাংশ যাত্রী উত্তরবঙ্গ ও ময়মনসিংহ রুটের।

শনিবার সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হলে এ সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা।

জহিরুল ইসলাম নামে এক এনজিও কর্মকর্তা বলেন, আজ সকাল ৮টা থেকে ৮টা ৩২ পর্যন্ত টিকিট কিনার চেষ্টা করছি। কিন্তু কিনতে পারছি না। টিকিট বুকিং অপশনে ক্লিক করার পরে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকছে।

নাজমুল সাকিব নামে আরেকজন বলেন, রংপুরের টিকিট কাটার জন্য সকাল থেকে চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না। পেমেন্ট অপশনে যাওয়ার পর ঘুরতে থাকে।

এমডি জাভেদ নামে একজন ফেসবুকে লেখেন, গত দুই ঘণ্টা ধরে সার্ভারের এই অবস্থা। লগইন করা যাচ্ছে না। কিন্তু টিকিট সেল হয়ে যাচ্ছে।

আবদুর রাজ্জাক সরকার নামে এক ব্যক্তি তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য সকাল সাড়ে ৭টায় ঘুম থেকে উঠে কম্পিউটার, আমার মোবাইল ও বউয়ের মোবাইল, তিনটা ডিভাইস নিয়ে যুদ্ধে নামলাম। ৮টায় লগ ইন করেই হতাশ, কুড়িগ্রামের জন্য স্নিগ্ধার টিকিট দেখায় মাত্র ১০টা। বুকিং অপশনে ২টা বুকিং করতে পারলেও পারচেজ অপশন থেকে আর লোড নিচ্ছে না।এক ঘণ্টা ধরে এই পারচেজ অপশনেই আটকে আছি। হে রেল কর্তৃপক্ষ পারচেজ অপশন পার হতে আমাকে কি ইফতারি পর্যন্ত কম্পিউটারের সামনে বসে থাকতে হবে? বলা হচ্ছে অনলাইনে শতভাগ টিকিট কিন্তু ৮টায় লগইন করে বেশিরভাগ টিকিট গায়েব। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে টিকিট উধাও কিভাবে? মিলি সেকেন্ডের মধ্যে ট্রেনের টিকিট কাটার ফার্মগেটে কোনো কোচিং থাকলে জানাবেন, ভর্তি হতে চাই।

সার্ভার জটিলতায় উত্তরবঙ্গের একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকিট শেষ হতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। ময়মনসিংহ, জামালপুর রুটের চলাচলকারী অগ্নিবীণা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, জামালপুর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট কাটতেও সমস্যা হয়।

ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলা চারটি আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটও শেষ হয় সাড়ে নয়টার পর। যশোর ও খুলনাগামী সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসে যশোরের মাত্র পাঁচটি সিট খালি রয়েছে। এছাড়া খুলনার প্রায় ২০০ সিট খালি রয়েছে। বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেসে খালি রয়েছে ২৪টি সিট। সিলেট রুটের কালনী, পারাবত, জয়ন্তিকা, উপবন এক্সপ্রেসের টিকিট এখনো পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম রুটের চট্টলা, সুবর্ণা, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের টিকিটও পাওয়া যাচ্ছে।

সার্ভার জটিলতার বিষয়ে জানতে চাইলে সহজের সিইও সন্দ্বীপ দেবনাথ সমকালকে বলেন, আজ সকালে আমাদের সার্ভারের প্রায় ১১ লাখ মানুষ ছিল। তবে কোনো সমস্যা হয়নি। যাত্রীরা টিকিট কিনেছেন।
তিনি বলেন, অনেকেই টিকিট পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। ঈদে ট্রেনে প্রতিদিন বিক্রি করা হবে  ২৫ হাজার ৭৭৩টি  টিকিট। সবাই তো আর একদিনে টিকিট পাবে না।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.