অধ্যাপক আনোয়ার, শফী আহমেদসহ নেত্রকোনায় ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল

0
156
বাঁ থেকে শফী আহমেদ ও অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনের নেতা শফী আহমেদসহ ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ত্রুটিপূর্ণ, খেলাপি ঋণসহ নানা কারণে তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

আজ রোববার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজের কার্যালয়ে নেত্রকোনার পাঁচটি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। মোট ৩৬ জনের মনোনয়নপত্র যাচাইয়ের পর ৭ জন স্বতন্ত্রসহ ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তাঁরা ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে এ ব্যাপারে আপিল করতে পারবেন।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা হলেন নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আফতাব উদ্দিন ও জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী ছমির উদ্দিন। নেত্রকোনা-২ (সদর-আটপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুব্রত চন্দ্র সরকার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আমজাদ হোসেন ঠাকুর ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. মাজহারুল ইসলাম খান। নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী আসাদুজ্জামান খান ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী রিগ্যান আহমেদ।

নেত্রকোনা ৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নব্বইয়ের গণ-আন্দোলনের নেতা শফী আহমেদ ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আল মামুন। নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মো. মিসবাহুজ্জামান ও কৃষক লীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় নেত্রকোনা-২ আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম খান ও খেলাপি ঋণ থাকায় নেত্রকোনা-৪ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আল মামুনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। অন্য ১১ জনের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও মনোনয়নপত্রে ত্রুটি থাকায় তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চাইলে আসনের ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে হয়। প্রার্থীদের মধ্যে অনেকেরই তা ত্রুটিপূর্ণ। কারও কারও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ও খেলাপি ঋণ আছে। এসব কারণে ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। প্রার্থীরা চাইলে সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, শফী আহমেদ, আবদুল মতিন, মাজহারুল ইসলামসহ অন্তত ছয়জন বলেন, তাঁরা রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র বাতিলের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন।

নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। এরপর ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীদের আপিলের সুযোগ থাকছে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর আর ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.